সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানি বন্ধে সিপিজেসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আহ্বান

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানি বন্ধে খোলা চিঠিতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক অধিকার গোষ্ঠী। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে ইমেইল পাঠিয়েছে সংগঠনগুলো। ইমেইলের সিসিতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককেও প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে অবিলম্বে হয়রানি বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়।

গোষ্ঠীগুলো সিপিজের চিঠিতে দাবি করেছে, রোজিনার বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিক যুগের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এর অধীনে তদন্ত চলছে। করোনা মহামারির সময় দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবেদন করায় তাকে হেনস্তায় পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ১৪ বছর কারাদণ্ড, এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে তার। 

চিঠিতে আরও স্বাক্ষর করে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি ডেথ-পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, কোয়ালিশন ফর উইমেন ইন জার্নালিজম, সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা, ফ্রি মিডিয়া মুভমেন্ট, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ওভারসিজ প্রেস ক্লাব অব আমেরিকা, পাকিস্তান প্রেস ফাউন্ডেশন, পেন আমেরিকা, পেন বাংলাদেশ, পেন ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস, সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয় সাংবাদিক রোজিনাকে। দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় তাকে। পরে কারাগারে পাঠানো হয়। সাত দিন কারাভোগের জামিন পান তিনি। তার বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে।