ডেমোক্র্যাটিকসহ বিভিন্ন বিরোধীদলের সমালোচনার মুখে অবশেষে কার্যক্রমগত নীতিমালায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্রের ডাকবিভাগ। নতুন এ নীতিমালার বিরুদ্ধে যখন কংগ্রেসে শুনানি হতে যাচ্ছে এবং অন্তত ২০টি অঙ্গরাজ্য ডাকবিভাগের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই এ ঘোষণা দিলেন পোস্টমাস্টার জেনারেল লুই ডিজয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে নির্বাচন হওয়ার কারণে অনেক মানুষ চাকুরি হারাবার ভয়ে সশরীরে ভোট দিতে পারেন না৷ কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারও কারও ভোট দিতে সমস্যা হয়৷ এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সেদেশে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর সুযোগ রয়েছে৷ এ বছর করোনা সংকটের কারণে অসংখ্য ভোটার সেই সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ সম্প্রতি অ্যাক্সিওস/সার্ভে মানকির চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, তিন চতুর্থাংশ রিপাবলিকান সশরীরে আর ৫০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মেল ইন পদ্ধতিতে ভোট দিতে চান। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে মেল ইন ভোটের দাবি জানানো হলেও ট্রাম্প শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছেন। ডাক বিভাগ বিশাল সংখ্যায় পোস্টাল ব্যালট সামলাতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছেন তিনি৷ সম্প্রতি ডাক বিভাগের বরাদ্দ কাটছাঁটও করেছেন তিনি।
ডাকবিভাগের প্রধান ডিজয় ট্রাম্পেরই সমর্থনপুষ্ট। রিপাবলিকান শিবিরের একজন অর্থদাতাও তিনি। ডিজয়ের নেতৃত্বে ডাকবিভাগে নতুন যে নীতিমালা প্রণয়নের কথা ভাবা হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে-সব মেইল বক্স সরিয়ে নেওয়া, ডেলিভারি দেওয়ার সময় কমিয়ে আনা এবং সর্টিং মেশিন বন্ধ করে দেওয়া। ডেমোক্র্যাটরা আশঙ্কা জানায়, এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রতিনিধি পরিষদে জবানবন্দি দিতে ডিজয়কে তলব করেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ডাক বিভাগের পরিবর্তনগুলো থামিয়ে দিতে ভোটাভুটিরও আয়োজন করা হয়। আর তার আগেই ডিজয় জানালেন, নতুন নীতিমালা প্রণয়নের সে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
এখন তিনি বলছেন, পোস্ট অফিসের কর্মঘণ্টা কমানো হবে না। মেইল বক্স ও সর্টিং মেশিনও সরানো হবে না।