দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রপাগান্ডা লিফলেট পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। নিজেদের পক্ষত্যাগী নাগরিক ও সিউল কর্তৃপক্ষের নিন্দা জানিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে এসব লিফলেট পাঠানো হবে। শনিবার (২০ জুন) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ছোড়া লিফলেটের বদলা হিসেবে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমন্বয় কাজ চালাতে স্থাপন করা যৌথ লিয়াজোঁ অফিসও গুঁড়িয়ে দেয় উত্তর কোরিয়া। এবার পাল্টা লিফলেট ছোড়ার প্রস্তুতি চলছে।
শনিবার (২০ জুন) কেসিএনএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকতে গিয়ে যারা ন্যুনতম নৈতিকতাটুকুও বিসর্জন দিয়ে ফেলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিস্বরূপ লিফলেট ছুড়তে দেশের বিক্ষুব্ধ জনগণ তাদের কাছে বড় পরিসরে লিফলেট বিতরণের চাপ দিচ্ছে।’
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘প্রত্যেকটি ক্রিয়ারই যথাযথ প্রতিক্রিয়া আছে। কেউ যখন নিজেই সে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়, তখনই সে কেবল বুঝতে পারে এর আঘাত কতটুকু ছিল।’
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা সর্বপ্রথম ২০০০ সালের ১৩ জুন বৈঠকে বসেন। সেদিনের বৈঠকের মাধ্যমেই তারা নিজেদের দীর্ঘদিনের শত্রুতা ভুলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এই উদ্যোগের জন্য তৎকালীন দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কিম দাই জং নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তবে সম্প্রতি দুই দেশের উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে সে সম্পর্ক ছিন্ন হয়।