পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসতে ইরানের চতুর্থ দফা পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার (১১ নভেম্বর) ব্রাসেলসে ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি, ইরানকে ২০১৫ সালের ওই চুক্তি বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালের জুনে ভিয়েনায় নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান) ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বরে থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। এর পর থেকে ইরান তাদের প্রতিশ্রুতি পর্যায়ক্রমে হ্রাস করছে। সম্প্রতি চতুর্থ দফা পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইইউ, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি।
মোগেরিনি বলেন, ‘ইরান তার ফোরদু স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে দেশটি পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যেতে চায়, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ইউরোপ এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি এবং ইইউ তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এদিকে লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন অ্যাসেল বোর্ন ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ইরান সম্পর্কে আইএইএ’র প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার আগে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।