ইসরায়েলে ৫ হাজার বছর পুরনো শহর আবিষ্কার

ইসরায়েলে মন্দির ও দুর্গসহ পাঁচ হাজার বছরের পুরনো এক বিশাল শহর আবিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ। ভূমধ্যসগরীয় অঞ্চলের নিকটবর্তী ও ইসরায়েলের নতুন শহর হারিশের কাছে শ্যারন অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চালিয়ে সাড়ে ছয় লাখ বর্গমিটারের অধিক আয়তনের প্রাচীন ওই শহরটি আবিষ্কার করা হয়। রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

_109128442_3aeade62-706d-4875-bf70-117c96a07e62

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রত্মতাত্মিকদের দাবি, সেখানে তারা প্রাচীন দুর্গ, মন্দির, পরিকল্পিত পথ এবং একটি কবরস্থান খুঁজে পেয়েছেন। প্রত্নতত্ত্ববিদরা ব্রোঞ্জ যুগের গোঁড়ার দিকে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের শেষ পর্যায়ে গড়ে ওঠা একটি পরিকল্পিত মহানগরের খোঁজ পেয়েছেন। এর চারপাশে ছিল দুর্গ প্রাচীর এবং তাতে ছিল আবাসিক ও সাধারণ এলাকা, সড়ক এবং গলি। এটা ওই সময়ের সবচেয়ে বড় স্থাপনা।

ওই খনন তদারকির অন্যতম তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক ইতাই এলাদ। তিনি বলেছেন, এন এসুর নামে পরিচিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি এই অঞ্চলের বৃহত্তম স্থাপনা। এটি সেই যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ধারণা করা হচ্ছে, সাত হাজার বছর পুর্বে সেখানে জনবসতি ছিল।

_109129129_36875fe8-31f9-4aa3-922b-a7b79446abe0

প্রাচীন এ শহরে ছয় হাজারের মতো বাসিন্দা ছিল। কৃষি ও সেখানকার বিভিন্ন অঞ্চল, সংস্কৃতি ও রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখে জীবিকা নির্বাহ করতো তারা।

শহরের সাধারণ এলাকায় চিত্তাকর্ষক-মাত্রার মন্দিরটি আবিষ্কৃত হয়েছে। এর চত্বরে এক বিশাল পাথরের গামলা পাওয়া গেছে। মন্দিরের ভেতরে প্রাণির পোড়া হাড়ের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা বলির প্রমাণ বহন করে। সেই সঙ্গে দুর্লভ মূর্তি পাওয়া গেছে। সেখানে পোড়া মাটির পাত্রের লাখো টুকরো, পাথরের সরঞ্জাম ও আগ্নেয় শিলা মিলেছে।