জনসমর্থন বাড়ানোর জন্য নির্বাচনি সমাবেশে নিউ জিল্যান্ডের দুই মসজিদে হামলার ভিডিও দেখানোয় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান সমালোচনার মুখে পড়েছেন। নিউ জিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স তুর্কি কর্মকর্তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ওই ভিডিও দেখানোর কারণে দেশে-বিদেশে অবস্থান করা নিউ জিল্যান্ডের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বিঘ্নিত হতে পারে। যেখানে অভিযুক্ত নিউ জিল্যান্ডের নাগরিক নয়, সেখানে এমনভাবে ভিডিও প্রচার করলে তা নিউ জিল্যান্ডকে ভুলভাবে উপস্থাপন করবে। সেটা ‘অন্যায্য।’ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এরদোয়ান তার সমাবেশে হামলাকারীর সম্প্রচারিত হত্যাকাণ্ডের লাইভ ভিডিওর ভিডিওর কিছু অংশ ও অভিযুক্তের তথাকথিত ইশতেহারের কিছু অংশ উপস্থাপন করেছিলেন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নিউ জিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স তুর্কি কর্মকর্তাদের বলেছেন, এভাবে হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি দেখানো ‘অন্যায়।’ এর মাধ্যমে বিদেশে থাকা নিউ জিল্যান্ডের নাগরিকরা বিপদাপন্ন হতে পারে। নিউ জিল্যান্ড সফরে যাওয়া তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। পিটার্সের ভাষ্য, ‘অভিযুক্ত নিউ জিল্যান্ডের নাগরিক নয়। এধরনের জিনিস আমাদের দেশকে ভুলভাবে উপস্থাপন করবে। এতে দেশের ভেতরে ও বাইরে থাকা নিউ জিল্যান্ডবাসীর ভবিষ্যৎ ও সুরক্ষা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।’
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি'র মুখপাত্র ফয়েক ওজট্রাক এরদোয়ানের সমালোচনা করে বলেছেন, দুঃখজনক ঘটনা থেকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কয়েকটি ভোট পাওয়ার জন্য ভয়ানক রক্তাক্ত কাণ্ড দেখানো কি ঠিক?
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুইটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলা হয়। আল নূর মসজিদ ও লিনউডে অবস্থিত মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জনে উপনীত হয়েছে। হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট একজন ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী,’ যে মনে করে ‘মুসলিমদের জন্য ভীতিকর পরিস্থিতি’ তৈরি করা উচিত এবং শ্বেতাঙ্গরা ‘গণহত্যার শিকার।’ সে তার তথাকথিত ইশতেহারে হামলার বিষয়ে বিভিন্ন বক্তব্য উপস্থাপন করেছিল, যেখানে আলাদা করে বলেছিল তুর্কিদের কথা।