উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত ও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন বলে জানিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। এছাড়াও সোমবার পার্লামেন্টের উদ্বোধনী ভাষণে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একইসঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়নেরও ঘোষণা দেন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এই অর্থনৈতিক দেশ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উত্তর কোরিয়া কর্তৃক জাপানি নাগরিক আটক সৃষ্ট বিবাদ অনেকদিন ধরেই উত্তর মিটিয়ে ফেলার কথা বলে আসছেন আবে। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই পদক্ষেপ নিবো। পারস্পরিক অবিশ্বাসের দেয়াল ভাঙার সুযোগ আমি হারাতে চাই না। আমি নিজে কিম জং উনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের পরমাণু পরীক্ষা সংকট সমাধানের চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, আমি আমাদের অতীত ভুলে গিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের দিকে লক্ষ্য রাখবো।
তবে কবে এই বৈঠক হতে পারে সেটা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি আবে। আগামী মাসের শেষের দিকে কিমের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
এক বছর আগেও এই সংসদীয় ভাষণে উত্তর কোরিয়ার প্রতি খুবই কঠোর ছিলেন আবে। তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়াকে তাদের নীতি পরিবর্তনে বাধ্য করা হবে। দেশটির পরমাণু পরীক্ষাকে হুমকি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষ এখনও আবের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। বিগত বছরগুলোতে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জাপানের কড়া সমালোচনা করে আসছে। কেসিএনএ থেকে জানানো হয়, জাপান মানবাতাবিরোধী ঘৃণিত অপরাধী রাষ্ট্র।
এদিকে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি আবে।চলতি বছর বসন্তে দক্ষিণ কোরিয়ায় পূর্বপরিকল্পিত সামরিক মহড়ায় জাপান অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
চীনে আবে বলেছেন, তিনি গত বছর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার পর সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। চলতি বছর জাপান সফর করার কথা রয়েছে শি জিনপিংয়েরও। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে বদ্ধ পরিকর।’