‘প্রিয় মালতী’র লন্ডন জয়!

মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত, সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’ নির্মাণ করেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত।

গত ডিসেম্বরে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্যানোরামা সেকশনে সেরা সিনেমার পুরস্কার পায় সিনেমাটি। এবার আরেকটি সুখবর দিলেন শঙ্খ দাশগুপ্ত।

তিনি জানিয়েছেন, লন্ডন বাঙালি চলচ্চিত্র উৎসবের অষ্টম আসরে দর্শক পুরস্কার অর্জন করেছে ‘প্রিয় মালতি’।

২২-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। আর সেখানেই ‘প্রিয় মালতি’ দর্শকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পায়।‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার একটি দৃশ্যসামাজিক মাধ্যমে খবরটি জানিয়ে শঙ্খ দাসগুপ্ত লিখেছেন, “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ‘প্রিয় মালতি’ লন্ডন বাঙালি চলচ্চিত্র উৎসবের দর্শক পুরস্কার জিতেছে। আমাদের গল্পে যারা বিশ্বাস রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের ভালোবাসা আর সমর্থনেই এটা সম্ভব হয়েছে। চলুন আরও এমন গল্প তৈরি করি, যা সীমানার গণ্ডি পেরিয়ে মানুষের হৃদয়কে যুক্ত করে।”

‘প্রিয় মালতী’ নির্মাণের পাশাপাশি এর গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার শঙ্খ দাশগুপ্ত নিজেই।

বলা প্রয়োজন, এই সিনেমার মাধ্যমে শঙ্খ দাশগুপ্ত এ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে।

‘মালতী’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় মেহজাবীনেরও অভিষেক হয়। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে নাটক, সিরিজে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। তবে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমায় তাঁর অনবদ্য অভিনয় আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞজনেরা।

অভিনেত্রী, পরিচালক ছাড়াও ফিচার ফিল্মের প্রযোজক হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন নির্মাতা-প্রযোজক আদনান আল রাজীব।‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার একটি দৃশ্যসত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’। সিনেমার গল্প এমন- পলাশ আর মালতীর ছোট্ট ছিমছাম সংসার। পলাশ একটি দোকানের সাধারণ কর্মচারী। মালতী অন্তঃসত্ত্বা। বিবাহবার্ষিকীতে দুজন মিলে নৌকায় ঘুরতে বের হয়। কেক কাটে, ঘোরাঘুরি করে। আর দশটা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মতো সুখে সংসার করার স্বপ্ন দেখে তারা। মালতী পলাশকে বলে, ‘আমাকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দাও, নায়িকা শাবানার মতো সেলাই করতে করতে একটা ফ্যাক্টরি দিয়া দিমু।’ উত্তরে পলাশ বলে, ‘আমিও তাহলে জসিমের মতো একটা ঠেলাগাড়ি কিনে নিই। ঘুরে ঘুরে লেইস–ফিতা বিক্রি করি।’ তাদের এই সাজানো সংসার হঠাৎ ওলট-পালট হয়ে যায়। অন্যান্য দিনের মতো পলাশ দোকানে যায়। কিছুক্ষণ পর মালতী টিভিতে দেখে, পলাশের দোকান যে ভবনে, তাতে আগুন লেগেছে। পলাশকে পাওয়া যায় না। নিমেষে তা বদলে দেয় তার জীবনের মোড়।

সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ফ্রেম পার সেকেন্ড ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি।

আরও বলা প্রয়োজন, গত বছরের ২২ এপ্রিল বার্বিকান সিনেমায় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছবিটি প্রদর্শিত হয়। এছাড়া ‘কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’ ও ভারতের ‘গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ অফিসিয়ালি প্রদর্শিত হয়।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক উৎসবে ঘুরে আসার পর গত ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পায় সিনেমাটি।