শুরু হলো বঙ্গাব্দ ১৪৩২। নতুন বছর, নতুন উদ্দিপনা…পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনের স্বপ্নে বিভোর সবার হৃদয়। জরা-জীর্ণতাকে পাশ কাঁটিয়ে ধরাকে অগ্নিস্নানে শুচি করার প্রত্যয় সবার কণ্ঠে। সেইসাথে এদিন খাওয়া-দাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
আর দশটা বাঙালির মতো জয়া আহসানও নববর্ষের দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করতে পছন্দ করেন। এবার নববর্ষে দেশে আছেন। তাই চুটিয়ে উদযাপন করার সুযোগ ছাড়েননি। আর এসব কিছু নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সঙ্গে।জয়া আহসান জয়ার ভাষ্যমতে, তার উৎসব আগেই শুরু হয়েছে। গত দু'দিন ধরেই তার বাড়িতে চলছে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, আর এগুলো সবই হচ্ছে বৈশাখী উদযাপন উপলক্ষ্যে।জয়া আহসানজয়া বলেন, ‘১৩ এপ্রিল (রবিবার) গিয়েছিলাম চৈত্র সংক্রান্তির একটা অনুষ্ঠানে। যেটা হইচই-তে আমার যে ‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজটা মুক্তি পেয়েছে, ওই টিমের তরফে আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যে ৭টায় ছিল সেই অনুষ্ঠান। এরপর রাত ১২টা থেকে গুলশানের সাহাবুদ্দিন পার্কে ছিল আল্পনা আকার অনুষ্ঠান। সেখানে ছিলাম। ওখানে জলের গান, বিভিন্ন বাংলা ব্যান্ড মিউজিক, বাউল গান সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে আমি ছিলাম। কারণ, আমি মনে করি এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও বেশি করে হওয়া উচিত। কারণ, এটা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। বাংলা সংস্কৃতিকে এভাবেই আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাই আমি ওখানে ছিলাম।’জয়া আহসাননববর্ষে মেলার আয়োজন হয়েছে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে জয়া এবার শহুরের কোলাহলপূর্ণ মেলা থেকে একেবারে হাজির হন গ্রামের বৈশাখী মেলাগুলোতে।
এ বিষয়ে জয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রত্যন্ত গ্রামেগঞ্জে আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাই এবার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে যে মেলাগুলো থেকে আমার কাছে আমন্ত্রণ এসেছে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আজ ১৪ এপ্রিল সকালেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মেলায় যাই। সেখানে ইলিশ-পান্তা উৎসবে যোগ দিয়েছিলাম।’জয়া আহসানশুধু ঘুরছেনই না, এই অভিনেত্রী যে কবজি ডুবিয়ে খাচ্ছেন সেটাও বলে দিলেন। তিনি বলেন, খাওয়াদাওয়া চলছে কয়েকদিন ধরেই। নববর্ষ উদযাপন তো প্রায় ৪-৫দিন ধরে চলছে। গতকাল যেমন আমি নিজেই রান্না করেছিলাম। মেনুতে ছিল ইলিশ মাছের ল্যাজ ভর্তা, লাল চালের পান্তা, ইলিশ মাছ, নারকেল ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, আম ডাল। আর হাতে তৈরি রসোগোল্লা।’জয়া আহসাননবর্ষের দিনের খাবার আয়োজন নিয়ে জয়া বলেন, নববর্ষেও পান্তা ভাত তো হবেই। আর সেটা শুকনো লঙ্কা আর পেঁয়াজ দিয়ে জমিয়ে মাখা হয়। ওটাই স্পেশালিটি (হাসি)। আবার দই পান্তাও হয়। বিশেষদিনগুলোতে আমিই রান্নাবান্না করি।’জয়া আহসানবলা প্রয়োজন, কিছুদিন আগেই জয়া আহসান অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’ মুক্তি পেয়েছে হইচইতে। এখানে তার চরিত্র (রুনা লায়লা) দারুণ পছন্দ করেছে দর্শক।