একজন মা তার সন্তানকে বাঁচাতে মরিয়া, সেই সাথে চায় তার সন্তানের পরিচয়। মূলত একজন নারী ও তার মাতৃত্বের স্বাধীনতার প্রশ্নে অসম্ভব লড়াইয়ের গল্প বলবে ‘বিলডাকিনি’ সিনেমা। নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের কাহিনি অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ফজলুল তুহিন।
১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) হয়ে গেলো সিনেমার পোস্টার উন্মোচন।
সিনেমা প্রধান চরিত্র মানিক মাঝির চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নিজ হাতে সিনেমার পোস্টার উন্মোচন করেন।
পোস্টার উন্মোচন পর্বে মোশাররফ করিম বলেন, ‘ছবিটি আমার একটি প্রিয় ছবি। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, এটি আমাদের সমাজের কথা বলে, সমাজের সমস্যার কথা বলে। সমস্যা থেকে উত্তরণের কথা বলে। মানুষের অমানুষ হয়ে ওঠার কথা বলে এবং অমানুষকে মানুষ করার কথা বলে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিনয় করে সন্তুষ্ট এবং তৃপ্ত। আমি চাই ছবিটি সবাই দেখুক। আমাকে আপনারা পছন্দ করেন বলেই মনে করি। এই সিনেমাটা আপনারা দেখবেন সে প্রত্যাশা করি একটাই কারণে, সেটা হচ্ছে এটা আমাদের গল্প, আমাদের সিনেমা।’
সিনেমায় মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার পার্নো মিত্র। এখানে তার চরিত্রের নাম হনুফা। মূলত গ্রামীণ নারী হনুফার গল্পেই আবর্তিত হয় ‘বিলডাকিনি’ সিনেমার কাহিনি। তবে তিনি এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা ফজলুল তুহিন বলেন, ‘একজন নারী ও তার মাতৃত্বের স্বাধীনতার প্রশ্নে অসম্ভব লড়াইয়ের গল্প এটি। তাকে ঘিরেই গল্প আবর্তিত হয়। তবে এখানে আছে একটি প্রভাবশালী চরিত্র। যিনি তার প্রভাব খাটিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষকে বিভিন্নভাবে তটস্থ রাখেন, জমি কেড়ে নেন, জেলে পাঠান। এমন একটি চরিত্রকে শায়েস্তা করতেই এক হন মোশাররফ ও পার্নো। ঘটে আরও বিভিন্ন ঘটনা।
ফজলুল তুহিন আরও জানান, রচয়িতা (নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর) একটা সময় নওগাঁ অঞ্চলে চাকরি করতেন। সেখানে তিনি গ্রামীন জীবন, পরিবেশ, মানুষ, সম্পর্ক অবলোকন করেছেন চমৎকারভাবে। মূলত ঐ অঞ্চলের প্রভাবশালী ব্যক্তি, যার অত্যাচারে জর্জরিত মানুষের জীবন নিয়ে উপন্যাস লেখেন। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে ‘বিলডাকিনি’ সিনেমাটি। এখানে বাংলার মানুষের চিরায়ত দুঃখ দেখতে পাবে দর্শক। যেখানে মানুষের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার অনুপ্রেরণা মিশে গেছে।’
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহাজাহান সম্রাট, লুৎফর রহমান জর্জ, শিল্পী সরকার অপু, রশীদ হারুন, হাবিব মাসুদ, আইনুন নাহার পুতুল, ইউসুফ হাসান অর্ক, মাহবুবুর রহমান, তিথি, মেহেদী হাসান সোমেন।
উল্লেখ্য, সিনেমার শুটিং হয়েছে নওগাঁর প্রতিসর, নাটোর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কারাগারে। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২৪ জানুয়ারি।