আত্মসমালোচনায় আমির

একটা সিনেমা নির্মাণের পেছনে থাকে অভিনেতা, নির্মাতাসহ অন্যান্য কলাকুশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রম। কিন্তু সেই সিনেমা যদি ব্যর্থ হয়, ব্যবসা না করে, তখন সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মন খারাপ হবে, এটাই স্বাভাবিক।   

নিজের সিনেমার ভরাডুবিতে এমন মন খারাপ হয় খোদ বলিউড পারফেক্টশনিস্ট আমির খানেরও। শুধু তাই নয়, রীতিমত বিষণ্ণতায় ডুবে যান তিনি। এই খবর  জানিয়েছেন আমির নিজেই।     

‘লাল সিং চাড্ডা’ ছিল আমির খানের স্বপ্নের প্রজেক্ট। তিনি ভেবেছিলেন, এই সিনেমা সুপারডুপার হিট ব্যবসা করবে।কিন্তু আমিরসহ সিনেমার অন্যান্য কলাকুশলীদের আশা ভঙ্গ হয়। সুপার ফ্লপ করে এটি। সিনেমার এমন ভরাডুবিতে এই অভিনেতা নাকি ২-৩ সপ্তাহ বিষণ্ণতায় ভোগেন।‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমায় আমির খান ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি ১৯৯৪ সালের হলিউড ক্ল্যাসিক ‘ফরেস্ট গাম্প’ সিনেমার রিমেক। এখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন টম হ্যাঙ্কস।  

সম্প্রতি, এবিপি নেটওয়ার্কের ‘আইডিয়াস অব ইন্ডিয়া ২০২৫’ অনুষ্ঠানে আমির খান ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমা নিয়ে কথা বলেন। অভিনেতা স্বীকার করেন যে, যখন তার সিনেমা ভালো ব্যবসা করে না, তখন তিনি বিষণ্নতায় ভোগেন।  

আমির খান বলেন, “যখন আমার সিনেমাগুলো ব্যবসা করে না, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। সিনেমা নির্মাণ সহজ নয়, খুবই কঠিন। কিন্তু কখনও কখনও সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না। ‘লাল সিং চাড্ডা’তে আমার অভিনয় ঠিক টম হ্যাঙ্কসের মতো ধারালো হয়নি।”‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমায় আমির খান ও কারিনা কাপুর তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমার সিনেমা ব্যর্থ হয়, তখন আমি ২-৩  সপ্তাহের জন্য এক ধরণের বিষণ্নতায় ডুবে যাই। তারপর আমি আমার দলের সঙ্গে বসে কী ভুল  হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করি এবং তা থেকে শিখি। আমি সত্যিই আমার ব্যর্থতাগুলিকে গুরুত্ব দেই। কারণ তারা আমাকে আরও ভালো কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়।’   

বলা দরকার, ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমা নির্মাণ করেন অদ্বৈত চন্দন। এতে আমির খান ছাড়াও আরও অভিনয় করেন কারিনা কাপুর, নাগা চৈতন্য, মোনা সিং, মানব ভিজ প্রমূখ। আমির খান উল্লেখ্য, আমির খানকে সামনে দেখা যাবে ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমায়। এটি ২০০৭ সালের হিট সিনেমা ‘তারে জামিন পার’-এর সিক্যুয়েল।

সূত্র: এনডি টিভি