গান লিখলেই তো আর তার মুক্তি মেলে না। তার জন্য পার করতে হয় গুরুত্বপূর্ণ জটিল একটা সময়। প্রথমে সুর, তারপর কণ্ঠ রেকর্ড, পরে সংগীত, মিক্স-মাস্টার এবং ভিডিও শুটিং, সম্পাদনা আরও কতো ধাপ কিংবা জটিলতা পার করতে হয়। তারপর মেলে মুক্তি।
তেমনই এক দীর্ঘ ধাপ অতিক্রম করে বৈশাখী উৎসবে প্রকাশ হলো নকশীকাঁথা ব্যান্ডের নতুন গান ‘জরিনা’। গান লেখা থেকে মুক্তির এই পথপরিক্রমায় সময় লেগেছে ২০টি বছর। জানালেন গানটির গীতিকবি, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী সাজেদ ফাতেমী।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নকশীকাঁথা ব্যান্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ব্যান্ডের কার্যালয়ে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে গানটি প্রকাশ করা হয়। ইতোমধ্যে ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক, টিকটকসহ ২১টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শোনা যাচ্ছে ‘জরিনা’কে।
‘জরিনা’ প্রসঙ্গে ব্যান্ডের দলনেতা সাজেদ ফাতেমী জানান, এই গানটির কথা তিনি লিখেছিলেন ২০ বছর আগে। এর মধ্যে সুরও করেছিলেন। তবে নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে গানটির মুক্তি দেওয়া হচ্ছিল না। কারণ, গানটিকে সঠিক অবয়বে প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল শুরু থেকেই। ২০ বছর পরে হলেও সেটি সম্ভব হয়েছে ভেবে ব্যান্ড সদস্যরা বেশ খুশি।সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘আমাদের ব্যান্ডের এ ধরনের গান এটাই প্রথম। সেজন্যই একটু সময় নিয়ে অনেক ভেবে করতে হয়েছে গানটি। গানটির মাধ্যমে এক নারীর রূপে মাতোয়ারা একদল মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহলের বিষয়টি নানান মজার কাহিনির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয়। নাগরিক ও গ্রামীণ জীবনভেদে সেই আকৃষ্ট হওয়ার ধরন আবার ভিন্ন। আমরা সেই বিষয়টিই গানটির অডিও আর ভিডিওতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
ফাতেমীর প্রত্যাশা, সহজ কথার গানটির সুর খুব চেনা মনে হবে। কোরাস ও হারমোনি এবং সুরে বিশেষ এক ধরনের ভাঁজ এ গানে ভিন্নমাত্রা যোগ করায় সহজে শ্রোতাকে আকৃষ্ট করবে।
বলা দরকার, লোকজ সুরের মধ্য দিয়ে নদী, বৃক্ষ, খেলার মাঠ ও পরিবেশ বাঁচানোসহ নানান সামাজিক সংকটের বিরুদ্ধে গানে গানে সচেতনতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ‘নকশীকাঁথা’ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়। ব্যান্ডের মৌলিক গানের প্রথম অ্যালবাম ‘নজর রাখিস’ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘নকশীকাঁথার গান’ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। দুটো অ্যালবামে ১৩টিসহ এ পর্যন্ত ব্যান্ডের প্রকাশিত গানের সংখ্যা ৫৮টি।