দেশের শিল্পী সমাজ প্রতিবাদ জানালো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার। ৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর একটি আধুনিক প্রেক্ষাগৃহে ছিল ‘দাগি’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী। আয়োজনে উপস্থিত অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজক এবং সাংবাদিকরা এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে মৌন প্রতিবাদে অংশ নেন।
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ৭ এপ্রিল সারা বিশ্বে ডাকা হয় ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক’। এতে সমর্থন জানান এদেশের সাধারণ মানুষ। পূর্ব পরিকল্পিত হওয়ায় একইদিনে অনুষ্ঠিত হয় ‘দাগি’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী। তবে শিল্পী ও সাংবাদিক সমাজের যারা এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন তারা সেই প্রতিবাদকে সমর্থন করতে ভোলেননি। গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে অংশ নিয়েছেন বিশেষ প্রদর্শনীতে।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘দাগি’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র সোনি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল, সিনেমার সহ–প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকির সিইও রেদওয়ান রনি, নির্মাতা শিহাব শাহীন, সাংবাদিক–সাহিত্যিক সাজ্জাদ শরিফ প্রমুখ। অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তারিক আনাম খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতুল্লাহ, আফরান নিশো, তমা মির্জা, সুমন আনোয়ার, সুষমা সরকার, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতু, সোহেল মণ্ডল, সাদিয়া আয়মান, নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন, রায়হান রাফী, জাহিদ প্রীতমসহ অনেকে। সংগীতশিল্পী সাজিদ সরকার, মাশা ইসলামও সামিল ছিলেন প্রতিবাদে।
‘বরবাদ’ সিনেমার প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি এবং নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয় উপস্থিত ছিলেন ‘দাগি’র বিশেষ প্রদর্শনীতে। তারা এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, ‘‘খুবই সুন্দর গল্প এবং নির্মাণের সিনেমা ‘দাগি’। শিহাব শাহীন ভাই এবং আফরান নিশো ভাইকে নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। আমি সিনেমাটা খুব উপভোগ করেছি।’’
রাজধানীর সিনেপ্লেক্সসহ দেশের আরও কিছু প্রেক্ষাগৃহে মহাসমারোহে চলছে ‘দাগি’। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তির দিন থেকেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় সিনেমাটি দেখতে। এটি দেখে সাধারণ দর্শকরা নানা মন্তব্য করছেন এবং তার প্রায় সবই ইতিবাচক। যা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করছে নির্মাতা শিহাব শাহীনকে। জানালেন, প্রায়ই দেখছেন কে কী বলছে সিনেমাটি দেখে। শো হাউজফুল হবার খবর তাকে আনন্দিত করে তুলছে।