ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও শেষ সভাপতি সংস্কৃতিজন, রবীন্দ্র গবেষক ও সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে, রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, সন্জীদা খাতুন কিডনির সমস্যাসহ নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
আরও জানান, সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগামীকাল ১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় সন্জীদা খাতুনের মরদেহ ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে নেওয়া হবে। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা আড়াইটার দিকে নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
তার মৃত্যুতে ছায়ানট গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
মৃত্যুকালে সন্জীদা খাতুনের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাবিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)।
এছাড়া কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৮৮ সালে তাকে ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধি, ২০১৯ সালে ‘নজরুল মানস’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার দেয়। ২০২১ সালেভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে।