না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অঞ্জনার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ৯০ দশকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর।
প্রিয় সহকর্মীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমার অগ্রজ সহকর্মী জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ও নৃত্যশিল্পী শ্রদ্ধেয় অঞ্জনা রহমান আর আমাদের মাঝে নেই, (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিঊন)।’
এরপর তিনি লেখেন, “এই তো মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আমার জন্মদিনে, আমাদের কিছু ছবি পোস্ট করে উইশ করে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শীর্ষস্থানীয় মহাতারকা। ৮০’র দশকের পর সিনেপ্রেমী দর্শকদের মাঝে যখন একঘেয়েমি, বিষণ্ণতা ভর করেছিলো, তখন যে কয়েকজন লাস্যময়ী নায়িকার আবির্ভাব ঘটেছিলো তাদের মধ্যে শাবনূর ছিল অনন্য। অনেক ভালোবাসা ও নিরন্তর শুভকামনা সবসময় তোমার জন্য।”
শাবনূর আরও লেখেন, ‘আমাদের সকলের প্রিয় অঞ্জনা আপার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা গুণী এই শিল্পীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন এ অভিনেত্রী। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
বলা প্রয়োজন,‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে চিত্রজগতে পথচলা শুরু করেন অঞ্জনা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন সোহেল রানা। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।