হৃদরোগে আক্রান্ত বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী। দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়েছে সফল অস্ত্রোপচার। এখন তিনি বিশ্রামে রয়েছেন নিজ বাসায়, কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী।
মুন্নী জানান, ২৪ নভেম্বর একটি কনসার্টে অংশ নিয়ে ২৫ তারিখে নিউ ইয়র্ক থেকে মন্ট্রিয়ালে নিজ বাসায় ফিরে যান তপন চৌধুরী। পরদিনই (২৬ নভেম্বর) আক্রান্ত হন হার্ট অ্যাটাকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শে হয় সফল অস্ত্রোপচার। পরানো হয় দুটি রিং। চারদিন হাসপাতালে থাকার পর ১ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তপন চৌধুরী।২৫ নভেম্বর নিউ ইয়র্কে দিনাত জাহান মুন্নীর সেলফিতে তপন চৌধুরীদিনাত জাহান মুন্নী বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানতে পারেন, দাদার হার্টে দুটি ব্লক রয়েছে। পরদিন দুটি রিং পরানো হয়। এরপর দুদিন হাসপাতালে রাখা হয়। এখন বাসায় আছেন। কিছুদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।’
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কানাডায় থিতু হয়েছেন তপন চৌধুরী। তবে গানের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রেখেছেন এখনও। প্রতি বছরই দেশে আসেন, নিজের গান নিয়ে ঘুরে বেড়ান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।
তপন চৌধুরীসত্তরের দশকের শেষদিকে গানের জগতে পা রাখেন তপন চৌধুরী। সোলস আর তপন চৌধুরী হয়ে ওঠে একে অপরের পরিপূরক। ঐতিহাসিক ব্যান্ডটির বিখ্যাত বেশিরভাগ গানই তপন চৌধুরী গাওয়া। ব্যান্ডের পাশাপাশি একক ক্যারিয়ারেও তুমুল সফল তিনি। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘মনে করো তুমি আমি’, ‘পাথরের পৃথিবীতে কাচের হৃদয়’, ‘আজ ফিরে না গেলেই কি নয়’, ‘আকাশের সব তারা ঝরে যাবে’, ‘আমি কি বেঁচে আছি’, ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’, ‘পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে’, ‘এই রুপালি চাঁদে’ প্রভৃতি।