বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অচলাবস্থা কাটাতে কিংবা সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির প্রধান আহ্বায়ক ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। অথচ তিনিই মাসপূর্তির আগে লিখে বসলেন ইতিপত্র! যার মাধ্যমে তিনি একা নন, পুরো আহ্বায়ক কমিটির বিলোপ চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর এই নাট্যজন সংস্কারের বদলে সংঘাতের কারণ দেখিয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন লিখিত চিঠিতে। যার প্রাপক গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ২৩২টি নাট্য সংগঠনের সদস্যরা! চিঠির বিষয়টি মামুনুর রশীদ নিশ্চিত করেছেন বাংলা ট্রিবিউনকে। তবে এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
২৫ অক্টোবর ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ সভায় অভিনেতা-নির্দেশক মামুনুর রশীদকে প্রধান করে ফেডারেশন পুনর্গঠন ও সংস্কারের জন্য পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, আহমদ ইকবাল হায়দার, নাদের চৌধুরী ও নাজনীন হাসান চুমকি।
আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মলয় ভৌমিক গণমাধ্যমে বলেন, ‘ফেডারেশনের সাধারণ সভায় এই আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল, এখন সদস্যদের কাছেই আমরা অব্যাহতি চেয়েছি। কারণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে কাজের জায়গাটা আমাদের মিলছে না।’
এই নাট্যজন আরও বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি যখন করা হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল ফেডারেশন পুনর্গঠনের জন্য সব সিদ্ধান্ত আহ্বায়ক কমিটিই নেবে। আর রুটিনমাফিক কাজ করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকেও রাখা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি মূলত আহ্বায়ক কমিটিকে সহায়তা করার কথা। কিন্তু এখন কাজের পদ্ধতিগত কিছু সংঘাত তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আহ্বায়ক কমিটির পক্ষে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করছি।’
বলা দরকার, গত ২৫ অক্টোবর ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ সভায় স্থায়ী সদস্য ২৩২টি নাট্য সংগঠনের মধ্যে ১৯১টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সভায় সবার সম্মতিতে ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে বহিষ্কার করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য লাকী ইনামকে। পাশাপাশি সংস্কারের জন্য মামুনুর রশীদকে প্রধান করে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি।