জুলাই বিপ্লব বিরতির পর ফের দেশের প্রেক্ষাগৃহ সচল হতে শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (১১ অক্টোবর) মুক্তি পাচ্ছে আলোচিত সিনেমা ‘শরতের জবা’। আলোচনার কারণ, টানা ৮ বছর বিরতির পর এই সিনেমার মাধ্যমে পর্দায় হাজির হচ্ছেন কুসুম সিকদার। তারচেয়েও বড় বিষয়, সিনেমাটির গল্প, চিত্রনাট্য, নির্মাণ ও প্রযোজনাও তারই!
যেমন ঘটনা বাংলা সিনেমায় বিরল। এবার দেখা বিষয় সেই বিরল ঘটনাটি দর্শক-সমালোচকরা কতোটা গ্রহণ করে। তবে আশার কথা, ছবিটি প্রথম দিন থেকেই পাচ্ছে রোজ ২০টি করে শো! যা যে কোনও সিনেমা ওপেনিংয়ের জন্য বড় একটি বিষয়।
কুসুমের ভাষ্যে, ‘সত্যি বলতে পরিচালক-প্রযোজক হিসেবে এটি আমার প্রথম সিনেমা। ফলে সিনেমা হল প্রসঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। তাছাড়া আমি চাইনি, শুরুতেই সিঙ্গেল স্ক্রিনে ছবিটি উঠুক। মাল্টিপ্লেক্স থেকে আমি আগে দর্শকের মতামত পেতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমি খুবই ভাগ্যবান, মাল্টিপ্লেক্সগুলো আমাকে যথেষ্ট স্পেস দিয়েছে। পরের সপ্তাহ থেকে আমি দেশের অন্য প্রেক্ষাগৃহে যেতে চাই। আশা করছি, সবাই স্টার সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টারে এসে আমার ছবিটি দেখবেন।’
কুসুম এর আগে অভিনয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন ‘গহীনে শব্দ’, ‘লাল টিপ’ ও ‘শঙ্খচিল’ দিয়ে!
৮ বছর পর কুসুমের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পহরডাঙ্গা পিকচার্সের প্রথম নিবেদন হতে যাচ্ছে ‘শরতের জবা’। নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পহরডাঙ্গা নামে একটি ইউনিয়ন আছে। সেখানে কুসুমের দাদাবাড়ি। ছবিটির শুটিং হয়েছে সেখানেই।
ছবিটিতে কুসুমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান, জিতু আহসান, শহিদুল আলম সাচ্চু, নরেশ ভূঁইয়া, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, অশোক ব্যাপারী, হাসনাত রিপন, জাহাঙ্গীরসহ অনেকে। চিত্রগ্রহণ করেছেন খায়ের খন্দকার।
‘শরতের জবা’য় একটি গান আছে। এটি গেয়েছেন আলেয়া বেগম। এর কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন ইমন চৌধুরী। সংগীতায়োজনে সন্ধি।
২০১৬ সালে সর্বশেষ চলচ্চিত্রে কাজ করলেও ২০১৮ সালে হানিফ সংকেতের নাটকে অভিনয় করেন কুসুম সিকদার। এর নাম ‘শেষ অশেষের গল্প’। সে হিসেবে টানা ৬ বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী।