সরকারি অনুদান দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’ পুনর্গঠন করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে সভাপতি করে মোট ১০ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত করা হয় এই কমিটি।
যার মধ্যে অন্যতম সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমর।
বলা দরকার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিল্পীদের তালিকায় যে ক’জন নাম লিখিয়েছেন ফ্রন্টলাইনার হিসেবে, তাদের মধ্যে অন্যতম এই অভিনেত্রী। যিনি আন্দোলনকে সমর্থন দিতে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে অব্যাহতি নিয়েছেন নিজেদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ থেকেও। তখন তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, শিল্পীদের সংগঠন বিপ্লবের পক্ষে নেই, নেতারা সরকারের পক্ষে কাজ করছেন!
বিপ্লব শেষে ‘আলো আসবেই’-কাণ্ড ফাঁসের পর মম’র প্রতিবাদটাই সত্যি হয়ে ধরা দিলো সবার সামনে।
নতুন বাংলাদেশে সেই মমকে অনেকেই প্রত্যাশা করছিলেন শিল্প-সংস্কৃতি শাখার যেকোনও নবগঠিত কমিটিতে। যেমনটা এর মধ্যে দেখা গেছে বিপ্লবী সুরকার প্রিন্স মাহমুদ, গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী কিংবা নির্মাতা খিজির হায়াত খানসহ অনেককে।
এছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিস বিভাগের শিক্ষক ও অভিনেতা-নির্দেশক ড. আবুল বাশার মো. জিয়াউল হক (তিতাস জিয়া), চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক খান শারফুদ্দীন মোহাম্মদ আকরাম (আকরাম খান), চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার নার্গিস আখতার, রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল, নির্মাতা ও সম্পাদক সামির আহমেদ এবং অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম।
এদিকে বিলম্বে হলেও জাকিয়া বারী মমর নাম সরকারি কমিটিতে যুক্ত হওয়ায় অনেকেই স্বস্তি ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও অনেকেই বলছেন, বৈষম্যবিরোধী বিপ্লবে শিল্পীদের মধ্যে সবার অগ্রভাগে ছিলেন জাকিয়া বারী মম’র অন্যতম বন্ধু অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধান। বিপ্লব শেষে মমকে কমিটিতে পাওয়া গেলেও বাঁধনকে এখনও সরকারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, বোর্ড কিংবা কমিটিতে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের অন্যতম সদস্য খিজির হায়াত খান মমদের কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের নতুন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটিকে শুভকামনা। আপনাদের হাত ধরে যোগ্য মানুষগুলা দেশের মানুষের টাকায় এই দেশের গল্প মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে বলবে, এই প্রত্যাশা থাকলো।’
এদিকে, একই দিন আরও দুটি প্রজ্ঞাপন জারি হয় অনুদান বিষয়ে। এরমধ্যে একটি ‘স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটি’, অন্যটি ‘উপ-কমিটি’। দুটো কমিটিতেই রয়েছেন ৭জন করে সদস্য।