পরী আসলে মানুষ নন, সত্যিই পরী! বছরে একবার ঢাক পিটিয়ে রাজ্যের লোক ডেকে জমকালো আয়োজনে নিজের জন্মদিন তো বটেই, মা হওয়ার পর সেই উৎসবকে মাসে টেনে নামালেন। পুত্রের জন্মদিন পালন করেছেন প্রথম বছরের প্রতিটি মাসে, একই আবহে।
এর বাইরেও কাছের লোকেরা বলে, পরী তার জীবনের প্রতিটি সুন্দর ঘটনাকেই সেলিব্রেট করে দিন-ক্ষণ মনে রেখে। এটাও বলে, এজন্যই বোধয় শত বেদনাতেও মুষড়ে পড়েন না তিনি। কারণ মানুষের বেশে থাকলেও, তিনি মূলত পরী!
অনেকগুলো আবেগ, অভিমান আর সুন্দর আগামীর বার্তায় সাজিয়ে পরীমণি সেলিব্রেট করলেন বিচ্ছেদের বর্ষপূর্তি। কে জানে, রাত ১২টার পর (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজ ঘরে এই উপলক্ষে কেকও কেটেছেন কি না! উত্তর মেলেনি।
তবে বিচ্ছেদের বর্ষপূর্তির তারিখ মনে রেখে পরী যে বার্তা দিয়েছেন, সেটি বেশ অর্থবহ এবং ধারালো। নিজেকেও মূল্যায়ন করলেন। জানান দিলেন শরিফুল রাজকেও। বলতে চাইলেন, ‘দেখো, আজ আমরা একটু একটু করে নিজেদের মতন ভালো থাকতে শিখে গেছি।’
সঙ্গে ছবি দিয়েছেন ‘ওদের’। ছেলে, মেয়ে ও সন্তানতুল্য প্রিয় পোষ্য। যাদের কোলে ধরে হাসছেন পরী।
সন্তানদের স্বপ্ন দেখান এই বলে, ‘আমার মানিকজোড়, একদিন আমরা সত্যি ঐ আকাশ ছোঁব দেখিস।’
এরপরই এক বছর পেছনে গেলেন পরী। আঁকলেন বিষণ্নতার ছবি। বললেন, ‘আজ থেকে এক বছর আগে আমার জীবনের সেই ভুল মানুষকে (শরিফুল রাজ) ছেড়ে দিয়েছিলাম। এক বুক হাহাকার, হতাশা আর বুকের মধ্যে জাপটে ধরে ছিলো আমার ছোট্ট বাচ্চা ছেলেটা! আজ আর সেই ভুল মানুষের কোনও অস্তিত্ব নেই আমাদের কারোর জীবনে। না সেটা আমার বা আমার ছেলের! শুকরিয়া। আমরা ভালো আছি।’
শেষে নিজেকেই নিজে উইশ করে বসলেন, ‘হ্যাপি ডিভোর্স অ্যানিভার্সারি পরী!’
চলতি বছর (২০২৪) একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেন পরী।