জেনারেশন জেড নিয়ে প্রথম নাটক, ট্রেন্ডিংয়ে তৃতীয়

১৯৯৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যাদের জন্ম হয়েছে, অর্থাৎ বর্তমানে যাদের বয়স ১৪-২৭ বছর, তাদেরকে জেনারেশন জেড বলা হয়। সারা পৃথিবীতেই এই প্রজন্মকে টেকনোলজিক্যালি অ্যাডভান্সড জেনারেশন বলা হয়ে থাকে।

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এই জেনারেশনকে লক্ষ্য করে নানান ধরনের সিনেমা, টেলিভিশন ও ডিজিটাল কনটেন্ট বানানো হয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেও নির্মিত হলো একটি বিশেষ নাটক। প্রচলিত প্রেম ও কমেডি নাটকের বাইরে গিয়ে শুধুমাত্র জেনারেশন জেডকে টার্গেট করেই পরিচালক শেখ নাজমুল হুদা ঈমন নির্মাণ করেছেন ‘ভ্যানিশিং ম্যান’।

১৮ জুন ক্লাব ইলেভেনের ব্যানারে প্রকাশিত নাটকটি গত দু’দিন ধরে অবস্থান করছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের ৩ নম্বরে।

পরিচালকের দাবি, এই নাটকটি আরও একটি কারণে ইতিহাস হয়ে থাকবে। কারণ এটি বাংলাদেশের প্রথম ডার্ক কমেডি জনরার নাটক।

নাটকটির অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক পলাশ। আরও আছেন সাফা কবির, আরফান মৃধা শিবলু, শেগুফতা আহমেদ জারবিনী, ফারজাদ জুলফিকার, জান্নাত আফরিনসহ অনেকে। 

নাটকটি সম্পর্কে পলাশ বলেন, ‘‘আমি আমার টিমের (ব্যাচেলর পয়েন্ট) বাইরে যেসব কাজের অফার পাই সেগুলো না করার প্রধান কারণ হচ্ছে, প্রায় সবাই কাবিলা চরিত্রের নানান ভার্সন নিয়ে আমার কাছে হাজির হন। ‘ভ্যানিশিং ম্যান’-এ আমার চরিত্রটি এমন, যার কোনও অংশের সাথেই কাবিলা চরিত্রের মিল নেই। তাছাড়া পুরো কনসেপ্টটাই নতুন মনে হয়েছে আমার।’’একটি দৃশ্যে সাফা কবিরনির্মাতা জানান, যাদেরকে টার্গেট করে এই নাটকটি বানানো, অর্থাৎ জেনারেশন জেড এর অন্তত পাঁচ শতাধিক দর্শক ইতিমধ্যেই নির্মাতাকে ক্ষুদেবার্তা দিয়ে এই নাটকের পার্ট ২ বানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। 

মাত্র ৩ দিনে ৩ মিলিয়ন প্লাস ভিউ পাওয়া এই বিশেষ নাটকটি সম্পর্কে এর নাট্যকার-নির্মাতা শেখ নাজমুল হুদা ঈমন বলেন, ‘নাটকটি সফল হওয়ার পেছনে একটি গোছানো টিমওয়ার্ক ভূমিকা পালন করেছে। প্রথমে নাটকটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ওয়েব ফিল্ম হিসাবে নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। দেশের অন্যতম চারটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এটি নির্মাণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছিয়ে যায়, ব্ল্যাক কমেডির কারণে। যা ছিলো আমার জন্য যুদ্ধে নামার আগেই পরাজয় বরণের মতো ঘটনা। তবে জেনারেশন জেড যে এই ডার্ক কমেডি জনরার গল্পটি পছন্দ করবে সে ব্যাপারে বরাবরই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। সেই বিশ্বাসে সম্মতি দিয়ে এগিয়ে আসেন ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট-এর আকবর হায়দার মুন্না। গল্পটি শোনা মাত্রই কাজটি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। তবে মূল চিত্রনাট্য থেকে কিছু বিষয় আমরা কাটছাঁট করি। কারণ, এবারের মাধ্যমটি ফেসবুক-ইউটিউব। যাই হোক, এরপর অভিনেতা পলাশও গল্পটি শোনা মাত্রই কাজটি করতে রাজি হয়ে যান। তার পরের ফলাফল তো এখন আমরা দেখতেই পারছি।’

নাটকে ‘ভ্যানিশিং ম্যান’ শিরোনামের গান গেয়েছেন আকিব ব্রো। বিট প্রডিউসার ছিলেন লোকো বিটজ। অন্যদিকে আবহ সংগীতে ছিলেন প্রত্যয় খান।

নির্মাতা জানান, সামনে জেড জেনারেশনকে লক্ষ্য করে তিনি আরও ব্ল্যাক কমেডি নির্মাণ করতে চান। তবে সঙ্গে এটাও অনুরোধ করেন, এই কাজগুলো পরিবারের সদস্যদের নিয়ে না দেখে একা বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখাটাই শ্রেয়। কারণ, কাজটি ব্ল্যাক কমেডি জনরার।শুটিংয়ে নির্মাতা (মাঝে), দুই পাশে পলাশ ও শিবলু