চলচ্চিত্র দুনিয়ায় কান উৎসবের মর্যাদা প্রথম সারিতে। বিশ্বের সেরা সেরা সিনেমা-শিল্পী-কুশলীরা এখানে অংশ নেয়, গুণী বিচারকের পর্যালোচনায় পায় পুরস্কার। যদিও বিখ্যাত এই উৎসবে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কোনও প্রাপ্তি নেই। তবু প্রতি বছরই উৎসবটি ঘিরে দেশের শোবিজে বাড়তি আগ্রহের আমেজ দেখা যায়।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে কানের ৭৭তম আসর। আর এই শেষ হওয়া আসরের সূত্র ধরেই ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক আয়োজনে গিয়ে নিজ দেশ-জাতির সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করা উচিত নয়।
মূলত কান উৎসবে খোলামেলা পোশাক পরে হাজির হওয়া প্রসঙ্গেই অঞ্জনার মন্তব্য। তার ভাষ্য, ‘কান উৎসবে নিজেকে অত্যাধুনিকভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে এ দেশের কয়েকজন নামধারী নায়িকা এমন পোশাকে নিজেকে জনসম্মুখে আবির্ভূত করেছেন, যেটা কখনোই একজন পরিপূর্ণ বাঙালি শিল্পী করেন না। যার মধ্য বিন্দু পরিমাণ শিল্পসত্তা বিদ্যমান, তিনি এমন খোলামেলা পোশাকে নিজেকে এবং নিজের দেশীয় সংস্কৃতিকে অপমান করতে পারেন না।’
কাকে উদ্দেশ্য করে এমন পোস্ট দিয়েছেন অঞ্জনা, সেটা অবশ্য তিনি উল্লেখ করেননি। তবে এবারের কান উৎসবে বাংলাদেশ থেকে অভিনেত্রী হিসেবে নিজ উদ্যোগে গিয়েছিলেন আশনা হাবিব ভাবনা। বিভিন্ন পোশাকে নিজেকে মেলে ধরেছেন ফ্রান্সের সমুদ্র তীরের নগরে। শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে বাহবা দিয়েছে বটে। তবে নেটিজেনদের অনেকে তার সমালোচনাও করেছিল। অঞ্জনার মন্তব্যটিও যে তাকেই নিশানা করে, তা সহজেই বুঝতে পারছে অন্তর্জালবাসীরা।
যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ভাবনা। তবে সিনেমা ছাড়া নিজ উদ্যোগে কানে যাওয়া নিয়ে যখন সমালোচনা হয়েছিল, তখন তিনি বাংলা ট্রিবিউনের মাধ্যমে জবাব দিয়েছিলেন এই বলে, ‘আমি নেগেটিভ মানুষ না, নেগেটিভ প্রশ্নও আমার সামনে আসতে দেই না। এগুলো যারা বলছে, তা হয়ত ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে জানে না। ফেস্টিভ্যালে অফিসিয়াল সিলেকশন ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ আসে। সিনেমা থাকতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। জয়া আহসান যখন এসেছিলেন, তখন তাকে দেখে আমি প্রাউড ফিল করেছিলাম। তিনি তো সিনেমা নিয়ে আসেননি। অন্যান্য দেশের অভিনয়শিল্পীরাও আসছেন, ঘুরছেন এখানে। একে-অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। আসলে নিজের অভিজ্ঞতার জন্যই আসা।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে শুরু হয়েছিল কান উৎসবের ৭৭তম আসর। ২৫ মে পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আয়োজনটি।