পঞ্চমবারের মতো কলকাতায় শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। এবারও উৎসবটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ব্যবস্থাপনায় রয়েছে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় কলকাতার নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সীমান্তের কাঁটাতার বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে বিভক্ত করলেও, আমাদের হৃদয় ও নাড়ির বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি। একই মাটির গন্ধ, একই নদীর জল, একই পাখির কলতান, একই মেঘমালার বৃষ্টি, একই সংস্কৃতিতে আমাদের জীবন।’
তথ্যমন্ত্রী মনে করেন, দুই বাংলার চলচ্চিত্রকারেরা একসঙ্গে কাজ করলে বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্ব অঙ্গন দখল করবে। তার ভাষ্য, ‘চলচ্চিত্র এমন একটি মাধ্যম, যা দেখে শত শত বছরের আগের অবস্থা জানা যায়, আবার ভবিষ্যতের ছবিও আঁকা যায়।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিদ্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।
ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি আলাদা নয়। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি এটা দুই বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব। পঞ্চম বর্ষেও নিশ্চয়ই উৎসবের সিনেমাগুলো পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আকৃষ্ট করবে। আমরাও চাই কলকাতার ছবি নিয়ে বাংলাদেশে উৎসব হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে কথাবার্তা চলছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, অভিনেত্রী পূর্ণিমা, অরুণা বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়াসহ কলকাতার গায়ক রূপঙ্কর বাগচী, প্রিয়াঙ্কা গোপ প্রমুখ।
উৎসবে প্রদর্শনীর তালিকায় থাকা কয়েকটি সিনেমা হলো- ‘হাসিনা -আ ডটার'স টেল’, ‘জেকে-১৯৭১’, ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’, ‘লালশাড়ি’, ‘গেরিলা’, ‘দামাল’, ‘পরাণ’, ‘গুণিন’ ইত্যাদি।