বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী (৮ মে) উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এ উপলক্ষে কবির স্মৃতি বিজড়িত জেলাসহ সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে আর্টক্যাম্প ‘রঙ তুলিতে বিশ্বকবি’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকা, শিলাইদহের কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর, নওগাঁর পতিসর, খুলনার দক্ষিনডিহি ও পিঠাভোগসহ দেশের ৬টি জেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এই আর্টক্যাম্প। এতে অংশ নেবেন ৬০ জন চারুশিল্পী। যাতে রংতুলিতে উঠে আসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন দর্শন, সাহিত্য, গান ও কবিতার নানান বিষয়বস্তু।
রবিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় এমনটাই জানান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জনসংযোগ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন।
আরও জানান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় সোমবার (৮ মে) সকাল ১১টা থেকে ঢাকাসহ সব জেলায় একযোগে শুরু হবে এ আর্টক্যাম্প। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এসব চিত্রকর্ম নিয়ে ৮-১৪ মে পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে প্রদর্শনী। জাতীয় চিত্রশালার ৪ নং গ্যালারিতে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এটি। এছাড়া শুক্রবার (১২ মে) এ প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকছে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
এদিকে আজ (৮ মে) সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে হবে বিশেষ আলোচনা সভা। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাবন্ধিক ও শিশু সাহিত্যিক ড. সরকার আবদুল মান্নান এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহফুজা হিলালী। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এছাড়াও ‘আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায়’ সমবেত সংগীত পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকবেন ডালিয়া আহমেদ। শিমুল মোস্তফা আবৃত্তি করবেন রবীন্দ্রনাথের ‘বাঁশি’। ধৃতি নর্তণালয়-এর নৃত্য পরিচালক ওয়ার্দা রিহাব পরিচালিত ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’ এবং ‘হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী’ শিরোনামে পরিবেশিত হবে সমবেত নৃত্য। এছাড়াও নৃত্য পরিচালক কবিরুল ইসলাম রতনের মেডলি- ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’; ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ এবং ‘এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছে’ গান পরিবেশিত হবে। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করবেন নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় পরিবেশিত হবে সমবেত নৃত্য ‘বিপুল তরঙ্গ রে...’ এবং ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’।