অনেক বড় দায়িত্ব, চাপ অনুভব করছি: জ্যোতি

অভিনেত্রী হিসেবে জ্যোতিকা জ্যোতির পরিচিতি। কাজ করেছেন বাংলাদেশ ছাড়িয়ে ভারতেও। অভিনয়ের নৈপুণ্যে কুড়িয়েছেন প্রশংসার ফুল। তবে এবার নতুন পরিচয়ে নিজেকে মেলে ধরবেন তিনি। পালন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব।

সোমবার (১৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানা গেলো। তাতে বলা হয়, চুক্তিভিত্তিক দুই বছরের জন্য তাকে একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই পদে যোগদানের ক্ষেত্রে জ্যোতিকে একটি শর্তও মানতে হবে। তা হলো, অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে যদি যুক্ত থাকেন, সেটা পরিত্যাগ করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য শর্ত-নিয়মাবলি চুক্তিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।

বলা জরুরি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে একজন মহাপরিচালক থাকেন। বর্তমানে এ পদে রয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। পরিচালক পদে আছেন ৬ জন। আগামী দুই বছরের জন্য এই পদগুলোতে থাকছেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র- আফসানা মিমি, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি- কাজী হাবলু, প্রযোজনা- ইকো, প্রশিক্ষণ- রাশেদ, চারুকলা- মিনি করিম এবং গবেষণা ও প্রকাশনায়- জ্যোতিকা জ্যোতি।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে বড় দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত জ্যোতি। তবে দায়িত্বের চাপও অনুভব করছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথমত মনে হচ্ছে এটা অনেক বড় দায়িত্ব। সেটা ভেবে বেশ চাপ অনুভব করছি। তবে অসংখ্য মানুষ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগছে। অফিসে যোগ দেওয়ার পর আসলে আমার কাজ বা দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারবো। আমি এখন মন্ত্রণালয়ে এসেছি পুরো বিষয়টি জানার জন্য।’

উল্লেখ্য, জ্যোতিকা জ্যোতির ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৪ সালে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এরপর নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে টিভি নাটক ও সিনেমায় তুলে ধরেছেন। তার অভিনীত কয়েকটি ছবি হলো, ‘আয়না’, ‘নন্দিত নরকে’, ‘জীবনঢুলি, ‘অনিল বাগচীর একদিন’, ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’, ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ইত্যাদি। বর্তমানে জ্যোতির হাতে ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, ‘অনাবৃত’ ও ‘আগুনপাখি’ ছবির কাজ রয়েছে।