ক’দিন আগেই খবরটা জানা গেছে। বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। জমকালো আয়োজনে সেটাও হলো। সপ্তাহান্তের (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একটি বাড়ির উঠোনেই বসেছিল তারার হাট। যেখানে প্রকাশ করা হয়েছে কিংবদন্তি গীতিকবি প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা গানের নতুন সংস্করণ।
‘আইপিডিসি আমাদের গান’ থেকে প্রকাশ হয়েছে এটি। অনুষ্ঠানটির নতুন সিজনটি সাজানো হয়েছে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গানে। প্রথম গান ‘তুমি আরেকবার আসিয়া’ দিয়ে শুরু হলো এই পঞ্চম সিজনের প্রচার। যেটি গেয়েছেন অনিমেষ রায়। নতুন সংগীতায়োজনে ইমন সাহা।
এ উপলক্ষে আইপিডিসি ও গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিবার সমন্বিতভাবে চোখ ধাঁধানো আয়োজন করেছে। এতে হাজির হয়েছেন ঢাকাই সিনেমা ও সংগীতের অনেক তারকা। এরমধ্যে ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, সুচন্দা, চম্পা, মৌসুমী, ওমর সানী, আরিফিন শুভ, তারিন, বাপ্পারাজ, সম্রাট, ফেরদৌস আহমেদ, আঞ্জুমান আরা শিল্পী, বদরুল আনাম সৌদ, শওকত আলী ইমন, জুলফিকার রাসেল, মিফতাহ জামান, ন্যানসি, কোনাল, আলম আরা মিনু, ফেরদৌস আরা, কিশোর, জুয়েল মোর্শেদ, অপু আমানসহ অনেকে।
গান প্রকাশের আগে মঞ্চে ওঠেন দিঠি ও উপল। তারা দুজনই বাবা গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে ঘিরে নেওয়া এই উদ্যোগের পেছনের গল্প শোনান। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরপর তাদের সঞ্চালনাতেই পরিবারের অন্য সদস্য এবং তারকারা মাইক্রোফোন হাতে স্মৃতিচারণ ও মন্তব্য করেন।
বলা জরুরি, ‘তুমি আরেকবার আসিয়া’ গানের সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। এটি গেয়েছিলেন রথীন্দ্রনাথ রায়।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পুত্র উপলের মন্তব্য, ‘আমি এটা বিশ্বাস করি যে যতদিন বাংলাদেশের সংগীত, সংস্কৃতির অস্তিত্ব থাকবে, যতদিন এই বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন আমার বাবা গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নাম উচ্চারিত হবে সর্বোচ্চ সম্মান ও শ্রদ্ধায়। আমার বাবার সৃষ্টিকর্ম এত সমৃদ্ধ, তিনি সারা জীবন আমাদের কাছে স্মরণীয়-বরণীয়। তিনি অমর হয়ে থাকবেন। নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে যারা এই আয়োজন করেছেন, সেই আইপিডিসি টিমকে আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
সবশেষে সংগীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ‘আলোক সন্ধ্যা’ শীর্ষক এই আসর।
উল্লেখ্য, ‘আইপিডিসি আমাদের গান’র এই সিজনে মোট আটটি গান থাকছে। সবগুলোই গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা বিখ্যাত গান। যেগুলো ইমন সাহার সংগীতায়োজনে এ প্রজন্মের শিল্পীরা গেয়েছেন। প্রতি মাসে একটি করে গান প্রকাশ হবে বলে জানান আয়োজকরা।
ছবি: কামরুল ইসলাম