আফরান নিশোর গল্পে অন্য এক মেহজাবীন

নিশো মেহবছরঘুরে ফের বইছে ভালোবাসা দিবসের (১৪ ফেব্রুয়ারি) বসন্ত বাতাস। দিবসটিকে ঘিরে নির্মিত হচ্ছে শতাধিক নাটক-টেলিছবি। যার বেশিরভাগই বড় বাজেটে রোমান্টিক গল্পে মোড়ানো।
তবে এসব রকমারি আয়োজন মুহূর্তেই যেন চাপা পড়লো, বেদনাগাঁথা একটি স্থিরচিত্রের সূত্র ধরে। যেখানে দেখা গেছে, ধ্বসেপড়া বিল্ডিংয়ের ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আছে একজন নারী শ্রমিক, রক্তাক্ত মুখ! যে ছবিটি মানুষকে মনে করিয়ে দেয় রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি। অনেকে ভেবেছেনও তাই- ছবিটি তখনকার বোধয়।
গেল দুদিন ধরে এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেদনা ছড়িয়ে যাচ্ছে ভাইরালের সুর ধরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সেই চাপাপড়া নারী শ্রমিক বাস্তবের কেউ নন। চরিত্রের প্রয়োজনে এমন দৃশ্যে অংশ নিয়েছেন দেশের সাম্প্রতিক প্রধান টিভি অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
তাকে নিয়ে বেদনাময় অনবদ্য ভালোবাসার দৃশ্য এঁকেছেন নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার।
নির্মাতাকে নিয়ে মেহজাবীন-নিশো নিজেদের অভিনয় দেখছেন শুটিং মনিটরেসদ্য শুটিং হওয়া এই নাটকটির নাম ‘শিফ্ট’। যার গল্পটা লিখেছেন সময়ের আরেক ভার্সেটাইল অভিনেতা আফরান নিশো! চিত্রনাট্য লিখেছেন ইশতিয়াক অয়ন। এতে মেহজাবীন ছাড়াও অন্য প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন গল্পকার আফরান নিশো। আছেন নরেশ ভুঁইয়া, এস এম আশরাফুল আলম প্রমুখ।
নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে সঞ্জয় সমদ্দারের ভাষ্য এমন, ভালোবাসার গভীরতা মাপার প্রকৃত সময় হলো দুঃসময়। মানুষ সম্ভবত মৃত্যুর সময় তার ভালোবাসার মানুষকে সবচেয়ে বেশি অনুভব করে। শুদ্ধতম ভালোবাসায় মানুষ সহজ হয়, সুন্দর হয়। সেই সহজ, সুন্দর আর হৃদয়স্পর্শী ভালোবাসার একটি গল্প নিয়ে নাটকটি নির্মিত হয়েছে। স্বদেশ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন ফয়সাল আজাদ।
নির্মাতার সঙ্গে আলাপে জানা যায়, এটি একটি প্লাস্টিক কারখানার গল্প। যেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন মেহজাবীন ও আফরান নিশো। সম্পর্কে যারা দুজন স্বামী-স্ত্রী। তবে গল্পের বাঁক বদল হয় কারখানার ভবনধ্বসের মধ্যদিয়ে।
একটি দৃশ্যে মেহজাবীন ও নিশোসঞ্জয় সমদ্দার কাজটি প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিশ্চয়ই জানেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমাদের কাজ করতে হয়। ট্র্যাকের বাইরে কাজ করতে গেলে, সেই সীমাবদ্ধতা আরও বেড়ে যায় চারপাশ থেকে। এসব জেনেও আমি চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। কারণ, সঙ্গে পেয়েছি এই সময়ের সেরা দুজন ভার্সেটাইল অভিনয়শিল্পীকে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ না জানালেই নয়, প্রযোজক ফয়সাল আজাদ ভাইসহ আমার পুরো টিমকে। সবার আন্তরিকতা না পেলে এমন সিরিয়াস প্রোডাকশন শেষ করা মুশকিল। এখন অপেক্ষা দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার। আমার সবটুকু শ্রম সার্থক হবে তাদের মন জয় করতে পারলেই।’
জানা গেছে, নাটকটির সম্পাদনার কাজ চলছে এখন। পাশাপাশি আবহসংগীত তৈরি করছেন আহম্মেদ হুমায়ূন। বিশেষ এই নাটকটি ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচার হবে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে। পাশাপাশি উন্মুক্ত হবে ইউটিউব চ্যানেলেও।অন্য এক মেহজাবীন চৌধুরী