ছয় দফা দাবি আদায়ে রাজধানীসহ সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে সরকারি-বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনকারীরা। ওই দিন দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি শেষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।
কুমিল্লার কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগের প্রতিবাদে আজ দেশব্যাপী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি পালন করেন।
দুপুর পৌনে ১২টায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা রক্তে আগুন লেগেছে, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার, কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাইসহ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের ছয় দফা দাবি মেনে নিন। আমরা আলোচনায় আগ্রহী, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার বিচার ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার। আমরা চাই, সরকার দ্রুত কারিগরি শিক্ষায় বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে দক্ষ জনশক্তি গঠনের পথ প্রশস্ত করুক। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
এর আগে, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ছয় দফা দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে ঢাকায় গণমিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে মশাল মিছিল এবং বুধবার সকাল থেকে সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে তাদের কর্মসূচি চলবে।
কারিগরি শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে– অবৈধ নিয়োগ বাতিল, ডিপ্লোমা কোর্সের মানোন্নয়ন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত, কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের নিয়োগ, স্বতন্ত্র কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠন এবং উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।