গবেষণা ও ক্যারিয়ারের উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও গ্রামীণফোন। গবেষণা প্রকল্প, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও কর্মশালার মাধ্যমে গবেষণা, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ বাড়াতে এই যৌথ চুক্তি সই করা হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় গবেষণা ও ক্যারিয়ারের উন্নয়নে সেমিনার, ও কনফারেন্সের মতো বিভিন্ন জ্ঞানভিত্তিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে শিক্ষার্থী, অ্যাকাডেমিকস ও ইন্ডাস্ট্রি লিডাররা একত্রিত হবেন, যা তাদের মধ্যে মতবিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও বিজনেস স্টাডিজের মতো উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ লাভ করবেন, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলবে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও গ্রামীণফোন বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) কার্যক্রমেও যৌথভাবে কাজ করবে। এছাড়া, গ্রামীণফোনের ক্যাম্পাস কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা, ক্যারিয়ারের উন্নয়নের পরামর্শ ও ইন্ডাস্ট্রি অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেবে। যা অ্যাকাডেমিক এবং পেশাগত ক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অদ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের অ্যাসোসিয়েট ডিন (ভারপ্রাপ্ত ডিন) অধ্যাপক মুজিবুল হক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সাদিয়া হামিদ কাজী, ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার এবং স্টুডেন্ট লাইফের জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই ও গ্রামীণফোনের ডিজিটাল চ্যানেল ও ডিস্ট্রিবিউশনের প্রধান জাহিদুজ জামান এবং এমপ্লয়ার ব্র্যান্ড এক্সপার্ট আশফাক হোসেন।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বলেন, ‘এই ধরনের সহযোগিতা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার অভিজ্ঞতা পরিবর্তনে সাহায্য করছে, যেখানে বাস্তব কাজের জ্ঞান সরাসরি আমাদের অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছে। গ্রামীণফোনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করছি, যা শুধু ইন্ডাস্ট্রির মান পূরণই করছে না, সেই সাথে দ্রুত পরিবর্তনশীল চাকরির বাজারে নতুন উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের পথও তৈরি করছে।’
রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড এই অংশীদারিত্বকে শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাকাডেমিয়া ও শিল্পের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেন।
গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন বাংলাদেশের উন্নয়নে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী চিন্তা ও শক্তি ইন্ডাস্টির উন্নয়নে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।’