শিক্ষর্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তা চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বর্তমান সময়ে যে ট্রমার মধ্যে রয়েছে— তার ধরন ও প্রকৃতি নির্ণয় এবং এই বিষয়ে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তা সমাধানে বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তোলার সুপারিশ করেছেন তারা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই সুপারিশ করেন বক্তরা। মতবিনিময় সভার আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক-আইইডি)।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিথি প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহিত কামাল, প্রাইমারি এডুকেশন কনসাল্টেশন কমিটির সদস্য চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, ব্র্যাক-আইইডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইরাম মারিয়াম, টিচার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক এম. নাজমুল হক এবং বাংলাদেশ প্রাইমারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার সোসাইটির সভাপতি শাহিনুর আল-আমিন।
গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বা ট্রমার প্রকৃতি ও ধরন নির্ণয়, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও নীতি প্রভাবিত করার জন্য সুপারিশ তৈরির কৌশল সম্পর্কে মতামত নেওয়ার লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে।
সংগৃহীত মতামত ও তথ্যের আলোকে ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের কার্যক্রম ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, এসএমসি সদস্য, উন্নয়নকর্মী, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, অভিযান সদস্য সংগঠন, এডুকেশন ওয়াচ, আইএনজিও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক অস্থিরতা বা ট্রমার প্রকৃতি ও ধরন নির্ণয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা, সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা, শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিউনিটির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয় তুলে ধরা হয়।