সেসিপের ১১৮৭ জনকে রাজস্ব খাতে নেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ১ হাজার ১৮৭ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছেন সেসিপ কর্মকর্তারা। রবিবার (১৮ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এ দাবি জানানো হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বাড্ডা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হাকিম লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরেন।

সেসিপ কর্মকর্তা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) সরাসরি নিয়োগ করা ১ হাজার ১৮৭ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং উন্নততর শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে দাবি উপস্থাপন করেন তারা।

সেসিপের কর্মকর্তারা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কারিকুলাম বাস্তবায়ন, হাতেকলমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার, আইসিটিভিত্তিক শিক্ষার প্রসার, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, স্কুল-মাদ্রাসা মনিটরিং ও নিবিড় একাডেমিক সুপারভিশন, মাউশির ইএমআইএস সেল শক্তিশালীকরণ ও সফটওয়্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধান, সাধারণ শিক্ষা ধারার সঙ্গে চালু করা ভোকেশনাল ট্রেড কোর্স বাস্তবায়নে মনিটরিং, নকলমুক্ত পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারা জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা, শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আয়োজনসহ প্রশিক্ষণে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কর্মরত জনবল ১০ থেকে ২২ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এবং স্থানীয় ও বৈদেশিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে উঠেছে, ফলে মাঠ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মাধ্যমিক শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের সক্ষমতা বেড়েছে।

অনুমোদনের পরও রাজস্ব খাতে নেওয়া হয়নি
কর্মকর্তারা বলেন, চলমান বাস্তবতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও কাজের পরিধি আগের তুলনায় ব্যাপকভাবে বাড়ায় ও কর্মকর্তার সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় এবং সেসিপের জনবলের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সেসিপে সরাসরি নিয়োগ পাওয়া ও কর্মরত ১ হাজার ১৮৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ৬ মে সম্মতি দিয়েছে। এরপরও আমাদের রাজস্ব খাতে নেওয়া হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি ও অসম্মতি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ১৮৭ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পুরো জনবল ছাড়া শুধু মাউশির অর্গানোগ্রামে ৮০১টি পদের সম্মতি দেয়। পরে ২০২২ সালের ২০ জুন ১ হাজার ১৮৭ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য মাউশির বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু ২০২২ সালের ২৮ জুন অর্থ বিভাগ চারটি কারণ দেখিয়ে তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সুযোগ নেই মর্মে অসম্মতি জানায়।