খাদ্য সংস্কৃতি নিয়ে গল্প

চলছে ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসরের আয়োজন। তৃতীয় দিনের বিকেলে ‘ফুড স্টোরিস’ শীর্ষক সেশনে কসমিক টেন্টে সামিরা ওয়াদুদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয় ডা. উরসুলা মুনটিন রক, ব্রিটিশ রন্ধনশিল্পী ভ্যালেন্টাইন ওয়ার্নার এবং অস্ট্রেলিয়ান মাস্টার শেফ সিজন-১৩ রানার্স আপ কিশোয়ার চৌধুরী।

কিশোয়ার চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খাবার অন্যের সামনে উপস্থাপন করি না। আমাদের কিন্তু অনেক মজার মজার খাবার রয়েছে। বিষয়টিকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি৷ অস্ট্রেলিয়ান মাস্টার শেফ গ্র্যান্ড ফিনালেতে পান্তা ভাত করেছি। আমি মনে করেছি যা আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি, সেটাই অন্যের সামনে তুলে ধরা উচিত।’  

দর্শকসারি থেকে খাবার পরিবেশনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো সবসময় ঘরের খাবারই রাঁধি, ঘরের মতো করেই সাজাই। খাবার সাজানোর চাইতে স্বাদটা গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্রিটিশ শেফ ভালেন্টাইন ওয়ার্নার বলেন, ‘আমাদের খাবারের বিস্তৃত একটি সংস্কৃতি রয়েছে। বিভিন্ন দেশের খাবার এখানে খাওয়া হয়। আমি যেখানে থাকি, সেখানে সুপার মার্কেটে আপনি সব পাবেন, যা দিয়ে রান্না করবেন। বাড়িতে যখন আপনি রাঁধবেন, তখন আপনি খাবার পরিবেশন নিয়ে দুইবার ভাববেন না। কারণ সেখানে তো আপনাকে কেউ পরামর্শ দেবে না।’  

ডা. উরসেলা মুমটিন রক বলেন, ‘গবেষণায় আমরা দেখেছি, আপনি যেখানে থাকেন সেখানকার খাবারগুলোই আপনার জন্য দরকারি ও পুষ্টিকর। এসব খাবার শরীরে প্রভাব ফেলে। খাবারের ইমপ্যাক্ট হলো সামগ্রিকভাবে সবকিছুই খাবেন, যাতে সব পুষ্টিই আপনি পান।’