ছয় মাস পর আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উত্তোলন, ন্যায়বিচার চাইলেন বাবা

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সানি আহমদ নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক ইফতেখার আহমদসহ থানা পুলিশ ও সিআইডির টিম উপস্থিত ছিল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সানির বাবা বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন।

নিহত সানি গোলাপগঞ্জ উপজেলার শীলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে।

এর আগে, গত বছরের ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে গোলাপগঞ্জে গুলিতে নিহত হন সানি। পরে তাকে উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের শীলঘাট নিজ গ্রামে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ জানান, আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সানি আহমদ নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত সানির বাবা কয়ছর আহমদ বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই। ছেলেকে হারিয়ে আমাদের পরিবার দিশেহারা। ন্যায়বিচারের আশায় আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।’

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত বছরের ৪ আগস্ট গোলাপগঞ্জে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হন।