গ্রেফতার যুবলীগ নেতাকে বিএনপি কর্মী বানানোর চেষ্টা, দলের নিন্দা

ফিনল্যান্ডপ্রবাসী যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অর্থদাতা সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে বিএনপির কর্মী বানানোর অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সিলেট মহানগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

শনিবার (২ নভেম্বর) ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.খায়রুল ইসলাম খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক সেবুর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ফিনল্যান্ডপ্রবাসী যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অর্থদাতা সাজ্জাদুর রহমান মুন্নার বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলাও আছে। কিন্তু গ্রেফতারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুন্নাকে বিএনপি কর্মী বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতারা তা ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করে আসছিল সাজ্জাদুর রহমান মুন্না। সেই সঙ্গে গ্রেফতারের তথ্য ও টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর খোলস পাল্টে বিএনপি কর্মী সাজার নাটক শুরু করে দিয়েছে মুন্না। তার এই নাটক মামলা থেকে বাঁচার জন্য। অথচ ফ্যাসিবাদী হাসিনার আমলে আওয়ামী এমপি-মন্ত্রীদের সঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গেছে তাকে। দিনরাত তাদের পেছনে সময় ও টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১১টায় কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক মামলায় সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ফিনল্যান্ড যুবলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের অবৈধ আয়ের অর্থ ফিনল্যান্ড পাচার এবং সেই অর্থে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া l বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী মোমেন এখন ফিনল্যান্ড আছেন এবং তাকে সেখানে রেখেছেন যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান মুন্না।