এম এ মান্নানের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীকে প্রধান করে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে তাকে চিকিৎসকরা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১৩ নম্বর কেবিনে সাবেক পরিকল্পনা এমএ মান্নানকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানকে বার্ধক্যজনিত কারণসহ অন্য অসুস্থতায় কারাগার থেকে হাসপাতাল পাঠানো হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তার অবস্থা দেখে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীকে প্রধান করে তার জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন হয়েছে।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন।

জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্রের আদালতে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযাগে একটি মামলা করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, রনজিত চন্দ্র সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, রেজাউল করিম শামীম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখতসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করা হয়। 

এই মামলায় এম এ মান্নানকে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরদিন আদালতে পাঠানো হয়। এরপর থেকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে তার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। 

সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে থাকা অবস্থায় ৫ অক্টোবর সকালে এম এ মান্নান অসুস্থতাবোধ করেন। পরে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।