হবিগঞ্জ-১ আসনে চমক দেখালেন আমাতুল কেয়া

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ঈগল প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩ ভোট। ভোটের ব্যবধান ছিল ৪৪ হাজার ৩৪৯।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অনুপম কুমার দাস ও বাহুবল উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান পৃথকভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নবীগঞ্জ-বাহুবল উপজেলার ১৭৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারে কম।

নবীগঞ্জ উপজেলায় ১১৬টি ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া পেয়েছেন ৪১ হাজার ৯৯ ভোট। জাতীয় পার্টির এম এ মুনিম চৌধুরী পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৪০ ভোট।

এ ছাড়া ইসলামিক ঐক্যজোটের প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ ফারকানী (মিনার) প্রতীকে পেয়েছেন ২০৪ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী নুরুল হক গামছা প্রতীকে ১১৫ ভোট, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ট্রাক প্রতীকে ২০১ ভোট। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮০০। এর মধ্যে ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে।

অন্যদিকে বাহুবল উপজেলার ৬১টি কেন্দ্রে আমাতুল কিবরিয়া পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৫৩ ভোট। এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৬৩ ভোট।

এ ছাড়া ইসলামিক ঐক্যজোটের প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ ফারকানী (মিনার) প্রতীকে পেয়েছেন ১১৩ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী নুরুল হক (গামছা) প্রতীকে পেয়েছেন ৯৮ ভোট, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১১৮ ভোট। এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬২২। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হন। মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী।

পরে আসন সমঝোতায় ২৫ আসনের মধ্যে হবিগঞ্জ-১ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। এতে কপাল পোড়ে ডা. মুশফিকের। ফলে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ও আওয়ামী লীগ সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু।