ছাত্রকে ধর্ষণ, মাদ্রাসাশিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ১৪ বছরের এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন (৫০) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় অভিযুক্তকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগীকে একই হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই গোলাপগঞ্জ থানায় সোমবার (২৩ মে) একটি মামলা করেছেন। মামলার পর পুলিশ আটক ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অভিযুক্ত গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার মুহাম্মাদিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছে। রবিবার রাতে স্থানীয়রা মাদ্রাসা থেকে ফয়েজ উদ্দিনকে আটক করে পিটুনি দেওয়ার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে এই শিক্ষক। এর আগে মার্চে ধর্ষণ করে। ভয়ভীতি দেখিয়ে শনিবার ফের ধর্ষণের চেষ্টা চালালে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি পালিয়ে যায়। বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানায়। স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে ধরে এনে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন। পরে পুলিশ তাকে আহতাবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’