বাবা মামলার সাক্ষী হওয়ায় ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় সংঘর্ষের মামলায় বাবা সাক্ষী হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে ছেলে সুজন মিয়াকে (৩০) হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের পর দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের লহড়ী নোয়াগাঁও গ্রামের আশক আলীর ছেলে সুজন। তিনি টমটম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

স্থানীয়রা জানায়, সুজন আলীর গরু রবিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী বিশ্বনাথ উপজেলার পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ নিয়ে নিয়ে নুরুল ও সুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যার পর নোয়াগাঁও গ্রামে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন সুজনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করেন। পরে ওসমানী মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পূর্ব বিরোধের জেরে কিছু দিন আগে লহড়ী গ্রামের খলিল উদ্দিনের সঙ্গে একই গ্রামের নুর মিয়ার লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় খলিল বাদী হয়ে নুর মিয়াকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় সাক্ষী ছিলেন আশক আলী। এরপর থেকে নুর মিয়া ও তার লোকজন আশক আলীকে দেখলে গালিগালাজ করে।

আশক আলীর অভিযোগ, ‘নুর মিয়ার বিরুদ্ধে করা মারামারি মামলার সাক্ষী আমি। এ কারণে নূর মিয়া গং আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গালিগালাজ করে। এর জেরে আমার ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।’

জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়া উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।