ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমানকে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। গত শুক্রবার পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে তাকে রংপুরের রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করে শনিবার রাতে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রত্যাহারের আদেশের পর রবিবার সকালে ওসি শহিদুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মিথ্যা গল্প সাজিয়ে লাভ নেই, উপকার আমারই হবে। প্রতিটি গল্পই এক একটা সাক্ষী। বুজলে বুজ, না বুজলে খেয়ে নে তরমুজ।’ তার ওই পোস্ট ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত কুমার পালকে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে শহিদুরের প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি কোনও পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর সদর থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন শহিদুর রহমান। এর কয়েকদিন পর বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। ২ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও শহরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তার বাসভবনে মতবিনিময়ের সময় কয়েকজন সাংবাদিক ওসির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। তখন বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর শনিবার রাতে ওসি শহিদুর রহমানকে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়।
শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকে সরব ছিলেন সাংবাদিক জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, ওসি শহিদুর মামলা-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ নিয়ে আমরা গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও করেছি। এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা বিষয়টি বিএনপির মহাসচিবের কাছে উপস্থাপন করেছি। এসব করে আমরা ওসির উপকার করেছি, তিনি হয়তো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সেটি বোঝাতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে ওসি শহিদুর রহমান বলেন, আমার বদলির পর ফেসবুকে কেউ কেউ না বুঝেই নানা কিছু লিখছেন। তাদের জন্যই ওই কথাগুলো লিখেছি।