নীলফামারী চিলাহাটি রেল স্টেশনে নবনির্মিত আইকনিক ভবন ও ওয়াসফিডে ফাটলের খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও এর প্রতিকার মেলেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি পর্যায়ে এসব দেখার কেউ নেই।
গত ২৮ জানুয়ারি রেলওয়ের মহাপরিদর্শক ফরিদ আহমেদ পরিদর্শনে এলে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ সাধারণ জনতা ফাটলের চিত্র তুলে ধরেন তার কাছে। কিন্তু অদ্যাবধি কাজের অনিয়মের কোনও প্রতিকার না হওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বেপরোয়াভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসফিডের ফাটলের স্থানগুলোতে সামান্য মেরামত করে বহাল তবিয়তে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্টেশন সংলগ্ন বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন ও হাফিজুর ইসলাম খোকাসহ আরও অনেকে বলেন, চিলাহাটি রেল স্টেশনকে আধুনিক স্টেশনের রূপ দিতে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই বরাদ্দ দিয়ে চিলাহাটি আইকনিক ভবন, স্টেশনে হেড, লুক লাইন, ওভার ব্রিজ, ওয়াসফিড নির্মাণের জন্য ম্যাক্স ও ক্যাসেল কোম্পানি নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়।
তারা বলেন, ম্যাক্স কোম্পানি স্টেশনের আইকনিক ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হতে না হতে মূল ভবনে ফাটল দেখা দেয়। ক্যাসেল কোম্পানি ওয়াসফিড নির্মাণের সময় প্রায় পিলারে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এই ফাটল নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা গুঞ্জন থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলছে। তারা নির্মাণ করা ভবন ও ওয়াসফিডে নিম্নমানের উপকরণ রড, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করেছে।
হাফিজুল ইসলাম খোকা বলেন, এসব সমস্যার কথা আমরা স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে তুলে ধরেছি। তবে কে শুনে কার কথা। দেশে আজ অনেকভাবে সংস্কার হচ্ছে। অথচ এসব ঠিকাদারদের অনিয়ম দেখছে না কেউ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কোম্পানির প্রকল্প ম্যানেজার সালেমান আলী বলেন, শিডিউল অনুযায়ী কাজ চলছে। এখানে সঠিক ও নির্ভুল মালামাল দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এক বিন্দু পরিমাণও ভেজাল নাই।
প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত আই ডব্লিউ শরিফুল আজিম বলেন, নির্মাণ কাজের ক্রুটি থাকলে তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় নির্মাণ করে দিতে হবে। ফলে নির্ধারিত একটা সময়ের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাংশ বিল কেটে রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ২৮ জানুয়ারি ‘হস্তান্তরের আগেই ফাটল চিলাহাটি রেলস্টেশনের নবনির্মিত আইকনিক ভবন’ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনেও সংবাদ প্রকাশিত হয়।