যৌতুকের জন্য ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যার অভিযোগ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ঝরনা বেগম (১৯) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

পরিবারের দাবি, যৌতুকের দাবিতে মারধর ও নির্যাতনের পর ঝরনাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী আশিক মিয়া। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আশিকের বাবা রেজ্জাক মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ছাউনিয়া গ্রামের আশিক মিয়ার বাড়ির ঘরের মেঝে থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ঝরনা বেগম পলাশবাড়ী উপজেলার রামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। এক বছর আগে তার সঙ্গে উপজেলার ছাউনিয়া গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে আশিক মিয়ার বিয়ে হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মারধরের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরও জানান, ঝরনা বেগমকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আশিক মিয়াসহ চার জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে তার বাবা শহিদুল ইসলাম একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। পরে এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী আশিকসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেলেও আশিকের বাবা রেজ্জাক মিয়াকে আটক করা হয়েছে।

নিহতের বাবা শহিদুল ইসলামসহ স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আশিক ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য ঝরনাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে লোকমুখে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান তারা। পরে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আশিকের বাড়িতে গিয়ে মেঝেতে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঝরনার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশিক ঝরনাকে মারধর ও নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা করছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।