পৌষের শেষ ও মাঘের শুরুর দিন। টানা দুই দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। কুয়াশাচ্ছন্ন জনপদে এখনও মেলেনি সূর্যের দেখা। হিমালয় থেকে ভেসে আসা হিমশীতল বাতাসে কনকনে শীত বাড়াচ্ছে ঠান্ডার অনুভূতি।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার জেলায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল।
বুধবার সকাল থেকেই দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রান্তিক এ জেলা। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। শহর ও গ্রামের সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কুয়াশার সঙ্গে হিম বাতাস ও শিশির ঝরায় রাস্তাঘাটে কমে গেছে মানুষের চলাচল। প্রচণ্ড শীতে অপ্রয়োজনে অনেকে বাইরে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষ নেমে পড়েছেন কাজের সন্ধানে।
তারা বলছেন, শীতের কারণে পরিবারে কারও না কারও জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগবালাই লেগেই থাকে। একদিকে আয় রোজগার কম, আরেক দিকে রোগের চিকিৎসা সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বিপাকে। এ ছাড়া শীতে কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত পশুরাও। তাদের সুরক্ষায় রাখতে পুরোনো কাপড় কিংবা চটের ব্যাগ পরাতে হচ্ছে।
এদিকে, তাপমাত্রা ওঠানামা করায় শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন জেলার হাসপাতালগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন রোগীরা।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, ‘জেলায় দুই দিন ধরে তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার যেটা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’