জমি নিয়ে বিরোধে নারী ও বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ, মহাসড়ক অবরোধ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারী ও বৃদ্ধাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বড়খাতা এলাকায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।

অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, পূর্ব ফকিরপাড়া ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। একটি মামলাও চলমান রয়েছে। সেই মামলার তদন্ত করার জন্য পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় স্থানীয় সড়কে নারীদের জটলা-মারামারি দেখে। সেখানে আহতদের স্থানীয় অন্য নারীদের দিয়ে পুলিশের গাড়িতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন পক্ষ দুটি একে অপরকে আটকের দাবি জানায় পুলিশের কাছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, নারী পুলিশ নাই, এ অবস্থায় পুরুষ পুলিশ সদস্য দিয়ে নারীদের আটক করার সুযোগ নাই। বিষয়টি ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে ফেরত আসে। মূলত ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হতে পারে ধারণা করছে সূত্রটি।

এলাকাবাসী জানান, রহিমুদ্দিনের সঙ্গে মিজানুর গংদের দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এরই জেরে মঙ্গলবার বিকালে সেই জমি নিয়ে আবারও দুই পক্ষের মারামারি হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ৪ জন গুরুতর আহত হন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতীবান্ধা থানার পুলিশ মিজানুরদের পক্ষ নিয়ে নবীনা বেগম ও তার মা মোমেনাকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

সন্ধ্যার পরে পুলিশ আবারও গুরুতর আহত নবীনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে খবর পয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে আহত নবীনা বেগমের মা মোমেনা বেগম বলেন, ‘প্রথমে ওই পক্ষের লোকজন আমাদের মারধর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের পক্ষ নিয়ে আবার আমাদের মারধর করে। আমার মেয়ে এখনও অজ্ঞান হয়ে আছে।’

হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন নবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার কোনও সদস্য কাউকে মারধর করেনি। আমি আমার সদস্যদের জিজ্ঞেস করেছি। সড়ক অবরোধের স্থলে গিয়েছিলাম। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি শান্ত। পুলিশ কেন স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে জড়াবে?’