‘দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের আইনের মাধ্যমে সব জায়েজ করা হয়েছিল’

কুইক রেন্টাল সম্পর্কে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এটা ২০১০ সালের আইন। দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের আইন ছিল এটি। এই আইনকে দিয়েই এসব জিনিস জায়েজ করা হয়েছে। এই আইনটা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আদালত প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ জ্বালানি কেনা থেকে বাতিল এবং আদালতে যাওয়া যাবে না এই দুটি ধারাটা বাতিল করেছে। এ ছাড়া গত বুধবার এই আইন পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে আদেশটা এমন এসেছে, যে প্রকল্প চলমান তা বন্ধ করা যাবে না। যেমনটা বিদ্যুৎ তো বন্ধ করা যাবে না। সেজন্য আদালত বলায় এটা মাফ করে দিলাম। সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে এটা পূর্ণ পরীক্ষা করতে পারবে। এটাতে যদি কোনও দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়ে থাকে তা দেখা হবে। মনে রাখতে হবে এগুলো একটি চুক্তি। চুক্তি বাতিল করতে গেলে আদালতে যেতে হবে। এসব চুক্তি দেশি-বিদেশি আইনজীবীদের দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে নীলফামারীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সম্মেলন কক্ষে রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারীসহ তিন অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান। এ সময় রেলের অবৈধ জমি উদ্ধারের আশ্বাসও দেন তিনি। ফাওজুল কবির খান বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদেও রয়েছেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা বছরে ছয় হাজার কোটি টাকার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করি। এজন্য আমরা নবায়নযোগ্য শক্তি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ছাড়া এখন যেসব প্রকল্প হবে সেসব প্রকল্পের ফাঁকা জায়গা বা ছাদে যদি সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করা যায় তাহলে সেখানের বিদ্যুৎ সেচ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। সূর্যের আলোকে কেনা লাগে না, বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে গ্যাস, কয়লা কিনতে হয়। রংপুর বিভাগের যে কয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে তাদের কাছে চাইবো আপনারা ২০০ মেগাওয়াটের নবায়নযোগ্য শক্তির প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন। তাহলে দেখবেন কারও ওপরে নির্ভর করতে হবে না।’

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘গত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০১০ সালের দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংগ্রহের আইনটি পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া নীলফামারীতে এখন গ্যাস দেওয়া হবে না। আগে শিল্প কলকারখানার চাহিদা মিটিয়ে তার পর এ অঞ্চলে গ্যাস দেওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘সারা দেশে রেলের অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারে অভিযান চলছে। খুব শীঘ্রই সৈয়দপুর রেলওয়ের বেদখল হওয়া জমিও উদ্ধার করা হবে। সেই সঙ্গে রেলের জমি ব্যবহার করে কাজে লাগাতে হবে।’

রেলপথ সচিব ফাহিমুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোর্শেদুল আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন এসময়।