গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নাতি ও নাতি বউয়ের লাঠির আঘাতে দাদা আব্দুল খালেক ভোলার (৭০) নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজ বাড়িতে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের লাঠির আঘাতে মাটিতে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এই বৃদ্ধ।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত নাতি আলম মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী রেখা বেগমকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ কাঠগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল খালেক ওই গ্রামের মৃত আছর প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে দাদা আব্দুল খালেকের সঙ্গে নাতি আলম মিয়ার বিরোধ চলছে। এ কারণে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া ও উত্তেজনা বিরাজ করে। রবিবার রাতে বাড়ির সামনে মল ফেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নাতি আলম ও তার স্ত্রী রেখা লাঠি দিয়ে দাদার মাথায় আঘাত করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে, ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পরিবারের লোকজনসহ আশপাশের মানুষ। পরে অভিযুক্ত দুই জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
আব্দুল খালেকের স্বজনদের অভিযোগ, বাড়িতে যেকোনও বিষয়ে কথা বললেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন আলম ও তার স্ত্রী রেখা। এর আগেও তুচ্ছ ঘটনার জেরে আব্দুল খালেকসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন তারা। সর্বশেষ মল ফেলানোর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হন তারা। এ ঘটনায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনসহ এলাকাবাসী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে থানা আনা হয়েছে। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, আটকের পর আলম ও তার স্ত্রী রেখাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল খালেকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা হলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।