১৮০ টাকায় কিনে ২৩০ টাকায় বিক্রি কাঁচা মরিচ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত আছে। সরবরাহ বাড়ায় বর্তমানে পাইকারিতে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ১৮০ টাকায় কেনা মরিচ ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এতে দাম কিছুটা কমলেও সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্তি রয়ে গেছে। 

বন্দরের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্গাপূজার ছুটির ছয় দিন বন্ধের পর মঙ্গলবার থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনে ৩৯৮ টন আমদানি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দাম কমেছে। পূজার ছুটির মধ্যে ৩০০ টাকায় উঠে গিয়েছিল আমদানি করা মরিচের দাম। দেশি মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৪০০ টাকায়।

বন্দর ঘুরে দেখা যায়, মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে আমদানি করা কাঁচা মরিচের কেজি ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বুধবার দাম কমে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। বৃহস্পতিবারও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এদিন হিলির বাজারে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়। যা দুদিন আগেও ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

বন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘দেশীয় কাঁচা মরিচের বাড়তি দামের কারণে বগুড়া থেকে এখানে কিনতে এসেছি। দুর্গাপূজার বন্ধের পর আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমেছে। মঙ্গলবার প্রকারভেদে ২০০-২২০ টাকায় কিনেছিলাম। বুধবার আরেক দফায় কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে। বৃহস্পতিবারও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।’ 

বন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক মোস্তফা হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের যেসব এলাকায় মরিচ উৎপাদন হতো সেখানে অতিরিক্ত গরমে গাছ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে বাজারে ঘাটতি দেখা দেয় এবং দাম বাড়তে শুরু করে। দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা ভারত থেকে আমদানি শুরু করেছিলাম। দুর্গাপূজার বন্ধের কারণে আমদানি বন্ধ থাকায় আবারও দাম বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে দাম কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে। তবে ভারতে দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেশি। ফলে দেশের বাজারেও দাম বাড়তি। আমদানিতে কেজিতে শুল্ক দিতে হয় ৩৫ টাকার ওপরে। সরকার এটি প্রত্যাহার করলে আরও কমতো দাম।’

হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এতোদিন বাজারে সরবরাহ কম ছিল। আবার আমদানি করা মরিচ বাজারে কম থাকায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। আজ আমরা ২৩০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে দেশীয় কাঁচা মরিচ বাজারে নেই।’

হিলি বাজারে মরিচ কিনতে আসা আব্দুল খালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যে কাঁচা মরিচ ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল আমদানি বন্ধের সুযোগে তা ৩০০-৪০০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। এতো দামের কারণে অনেকে মরিচ কিনতে পারেননি। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। আজ ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।’

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী এসএম জোবায়ের বলেন, ‘ছয় দিন বন্ধের পর মঙ্গলবার থেকে মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার ৩৯৮ টন আমদানি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও আমদানি অব্যাহত আছে। যেহেতু এটি কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’