নতুন ঘরে ঈদ করবে কুড়িগ্রামের ২৬৮ পরিবার 

কুড়িগ্রামের আরও ২৬৮ পরিবার ঈদুল আজহার আগেই উপহারের ঘর পাচ্ছে। ভূমিহীন-গৃহহীন এই পরিবারগুলো এবারের ঈদ উদযাপন করবে নতুন সেমি পাকা ঘরে। আগামী ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর হস্তান্তর করবেন। রবিবার (৯ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জাননো হয়, জেলায় সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৯২০। সব পরিবারের জন্য ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চতুর্থ পর্যায় পর্যন্ত চার হাজার ৫৫৩ পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়। পঞ্চম পর্যায়ে ৩৬৫ পরিবারের জন্য ঘর বরাদ্দ পাওয়া যায়। এর মধ্যে এই পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৯৭ পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়। ১১ জুন দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৬৮ পরিবার ঘর পাচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় রাজস্ব তহবিল হতে দুটি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে কুড়িগ্রামে সবচেয়ে বেশি ঘর দেওয়া হবে নাগেশ্বরী উপজেলায়, ১২৬টি। চিলমারী উপজেলায় ৮০টি, রাজারহাট উপজেলায় আটটি, ফুলবাড়ীতে ৯টি, উলিপুরে ২০টি, রৌমারীতে ১৩টি এবং চর রাজিবপুর উপজেলায় ১২টি। বরাদ্দকৃত এসব ঘর ছাড়াও নাগেশ্বরী উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক থেকে প্রতিস্থাপিত ৫৩ পরিবারকে একক ঘর দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত এই প্রকল্পের এটি শেষ ধাপ হলেও নদী বিধৌত এই জেলার কোনও বাসিন্দা ভাঙনে গৃহহারা হলে তাদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। এছাড়া চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে যারা উচ্ছেদের শিকার হবেন, তাদের মধ্যে ভূমিহীনদের সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধু গৃহহীন-ভূমিহীনদের জমি ও ঘরই দিচ্ছেন না, আশ্রিত এসব পরিবারের নারী সদস্যদের জন্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন। এজন্য দেশজুড়ে আটটি উপজেলায় শুরু হওয়া পাইলট প্রকল্পের মধ্যে ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় আশ্রয়ণের পরিবারগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কুইক উইন প্রজেক্ট নামে এই কার্যক্রমে আশ্রয়ণের নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী চান, নারী-পুরুষ সবাই যেন কর্মমুখী হন।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায় ও জেলা তথ্য অফিসার মো. শাহজাহান আলী উপস্থিত ছিলেন।