বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবিরের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় তাকে। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ও পরে ভর্তি করা হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়েছে চিকিৎসকরা।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাট ভরতখালী মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সাঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের সহসভাপতি। তিনি প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার ভাগনে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীর নির্বাচনি এজেন্ট ছিলেন জাহাঙ্গীর।

ফারজানা রাব্বী বুবলী ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে। দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে বুবলী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট। আসনটিতে নৌকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।

হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিকালে বাড়ি ফেরার পথে হাট ভরতখালী মোড়ে তাকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার পথরোধ রোধ করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় দুর্বৃত্তরা অটোরিকশা থেকে জাহাঙ্গীরকে নামিয়ে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনি বিরোধের জেরেই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা এই হামলায় জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদিকে, জাহাঙ্গীর কবিরের ওপর হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত দাবি সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুল ইসলাম স্বপনের। তিনি বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীর কবিরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম করা হয়েছে। রড ও লাঠির আঘাতে তার হাত ও পা ভেঙে ফেলা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, নির্বাচনি বিরোধের জেরে সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট ও তার ভাই সুজাউদ্দৌলার নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর কবিরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া যুবলীগ নেতা শিফু ও দীপক বিপুর বাড়িতেও হামলার অভিযোগ করেন তিনি। হামলাকারী সকলেই নৌকার নেতাকর্মী।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি মোশারফ হোসেন সুইট ও তার ভাই সুজাউদ্দৌলাকে। এমনকি তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া য়ায়।