শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শরবতের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তুহিন মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অভিযুক্ত তুহিন মিয়ার (২৫) বাড়ি সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের গাছাবাড়ী গ্রামে। সে ওই গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে।

শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঘাটা থানার ওসি রাজু মিয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে সাঘাটা থানায় একটি মামলা করেন। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তুহিন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভুক্তভোগী ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে শিশুটিকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মামলায় উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যায় তার মেয়ে। এ সময় তুহিন মিয়া শরবতের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে। এরপর ধর্ষণ করে। বিষয়টি বাড়ির লোকজন টের পেলে তুহিন কৌশলে পলিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার সাঘাটা থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসায় সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। পাশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তুহিন মিয়াকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তার সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি।