বেড়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ  

দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। মাত্র দু'দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আর দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে পাইকারিতে ১২ টাকা। হঠাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দুই পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।   

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সব দোকানেই পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের সরবরাহ রয়েছে। তবে দাম আগের তুলনায় বেশি। দু'দিন আগেও দেশীয় কাঁচামরিচ পাইকারিতে ২৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে তা বেড়ে ৪৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরাতে আগে ৩০টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় পেঁয়াজ দুদিন আগেও ২৮টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এখন তা বেড়ে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় যে পেঁয়াজ ৩০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, তা বর্তমানে তা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চাল,ডাল তেল থেকে শুরু করে বাজারে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি। দাম এত বাড়লে আমরা নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবো, আর কীভাবে জিনিসপত্র ক্রয় করবো। এত বাড়তি দামে এসব পণ্য ক্রয় করা আমাদের জন্য অসম্ভব বিষয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দেশীয় পেঁয়াজ দুদিন আগেও ৩০ টাকা কেজি দরে কিনেছে তাই এখন ৪৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

আরেক ক্রেতা নুরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কাঁচামরিচের দাম কদিন কম ছিল। এতে আমাদের মধ্যে একটু স্বস্তিভাব ছিল। এখন মরিচের দাম কেজিতে ২০টাকা করে বেড়ে গেছে। এত বাড়তি দামে পেঁয়াজ কেনা আমাদের জন্য অসম্ভব। এখন এক কেজির জায়গায় হাফ কেজি বা আড়াইশ' গ্রাম পেঁযাজ কিনতে হচ্ছে। কাঁচামরিচের দামটা যদি একটু কম হতো তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

ব্যবসায়ী বিপ্লব শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কাঁচামালের ব্যবসা মূলত নির্ভর করে আমদানির ওপর। আমদানি বেশি হলে দাম কমবে। আর আমদানি কম হলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে আবহাওয়া খারাপ। কখনও গরম, আবার কখনও ঠাণ্ডা। এ কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচ গাছের ফুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে উৎপাদন ও সরবরাহ কমেেছে। বেড়েছে চাহিদা ও দাম।

পেঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কম ছিল। কিন্তু সম্প্রতি হয়ে যাওয়া মাঘের হঠাৎ বৃষ্টির কারণে পাবনা ও মেহেরপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজের জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে মোকামগুলোতে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বেড়েছে দাম।